বরুড়ায় কৃষক না হয়েও কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড পেলেন সরকার দলীয় ইউপি চেয়ারম্যান – Ajker Comilla

বরুড়ায় কৃষক না হয়েও কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড পেলেন সরকার দলীয় ইউপি চেয়ারম্যান – Ajker Comilla






















আজকের কুমিল্লা ডট কম :

আগস্ট ২৪, ২০২২


বরুড়ায় কৃষক না হয়েও কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড পেলেন সরকার দলীয় ইউপি চেয়ারম্যান – Ajker Comilla

ডেস্ক রিপোর্ট:

কুমিল্লার বরুড়ায় কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড পেয়েছেন খলিলুর রহমান নামের সরকার দলীয় এক ইউপি চেয়ারম্যান। তিনি উপজেলার ২নং ভবানীপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান। দরিদ্র কৃষকের তালিকায় ওই বিত্তশালী চেয়ারম্যানের নাম দেখে অনেকটাই হতবাক এলাকাবাসী।

বুধবার চেয়ারম্যান খলিলুর রহমানের কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ডের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তাতে নেটিজেনরা নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন।

জানা গেছে, বরুড়া উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নে দরিদ্র কৃষকদের মাঝে কৃষি উপকরণ বিতরণের জন্য সহায়তা কার্ড প্রদান করা হয়। কিন্তু ওই তালিকায় পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান নিজ নাম অন্তর্ভুক্ত করেন। সম্প্রতি একটি সূত্রের মাধ্যমে ওই ইউপি চেয়ারম্যানের সহায়তা কার্ডের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এতে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন সরকার দলীয় ওই ইউপি চেয়ারম্যান। একজন বিত্তশালী ব্যক্তি হয়েও কিভাবে তিনি কৃষকের তালিকায় নিজের নাম অন্তর্ভুক্ত করে উপকরণ সহায়তা কার্ড নিলেন এমন সমালোচনা চলছে ইউনিয়ন জুড়ে।

স্থানীয়রা জানায়, গত বছরের ২৮ নভেম্বর ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন খলিলুর রহমান। এর আগে তিনি দীর্ঘদিন সৌদি প্রবাসী ছিলেন। প্রবাসে থাকা অবস্থায় বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে তার রয়েছে ডুপ্লেক্স আলিশান বাড়ি। কৃষক না হয়েও তার কৃষক সহায়তা কার্ড প্রাপ্তিতে প্রকৃত কৃষকদের বঞ্চিত করা হয়েছে বলে দাবি অনেকের।

দেলোয়ার হোসেন নামের এক নেটিজেন তার মন্তব্যে বলেন, এই কার্ডটা উনার কি দরকার ছিল? উনি সজ্জন ব্যক্তি শুনেছি টাকার অভাব নাই, তাই এই কার্ডটা কোনো গরিব কৃষকের নামে ইস্যু করলে ভালো হইতো।

এ বিষয়ে ভবানীপুর ইউপি চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান বলেন, আমি চেয়ারম্যান হলেও আমার অনেক কৃষি জমি রয়েছে, নিয়মিত ফসল উৎপাদন করে আসছি, তারপরও কিভাবে কৃষক প্রণোদনা তালিকায় আমার নাম এসেছে সেটা আমি নিজেও জানি না, বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখব এবং প্রকৃত কৃষকরা যাতে প্রণোদনা পায় সে বিষয়টি নিশ্চিত করবো।

বরুড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, এই কার্ড পেতে হলে প্রথমে কৃষক হতে হয়। তিনি চেয়ারম্যান কিংবা এমপি সেটা পরের বিষয়। কৃষক হলেই যে কেউই এই কার্ড নিতে পারেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, এই কার্ড বিতরণ বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। তবুও কীভাবে কার্ড পেলেন বিষয়টি খতিয়ে দেখব। আর এই কার্ডের মাধ্যমে আমরা কৃষকদের তেমন উপকার করতে পারছি না ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা ছাড়া। একজন চেয়ারম্যানও কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড পেতে পারেন, যদি তিনি কৃষক হন।

সূত্র: যুগান্তর।
































আর পড়তে পারেন













Explore More Districts