১৭ March ২০২৫ Monday ৬:৪৯:৪৮ PM | ![]() ![]() ![]() ![]() |
নিজস্ব প্রতিনিধি:

বরিশাল জেলার বন্দর থানাধীন সাহেবেরহাট বাজারে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ৫ জন আহত হয়েছে।
গতকাল রবিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে সাহেবেরহাট বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে ৭/৮ জন পুলিশ সদস্য উপস্থিতিতে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন একপক্ষরা।
আহতরা হলেন, মো: লিখন খান, সাইফুল খান, স্বপন খান, সুরুজ হাওলাদার ও রিয়াজ খান; তারা সকলেই সাহেবেরহাট বাজারের দোকান ব্যবসায়ী। বর্তমানে তারা বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহত একপক্ষ লিখন খান জানান, তাদের পৈতৃক সম্পত্তি থেকে পাওয়া জমির উপর দোকান করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন কিন্তু সুজন খান তার দলবল নিয়ে ওই জমি ও দোকান জোর পূর্বক দখল নিতে গেলে উভয়ের ভিতর পুলিশের সামনেই বাক-বিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে সুজন খান, সাইফুল খান, সুরুজ হাওলাদার, মারুফ আহসান নান্নু, উজ্জল, মুহিন, রায়হান, ফেরদাউস, রেজভী, বাবু, নাসির উদ্দিন সম্রাটসহ ৩০/৪০ জন মিলে আহতদের উপরে হামলা করে বলে অভিযোগ করেছেন আহতরা।
আহত অপরপক্ষ ব্যবসায়ী সুরুজ হাওলাদার জানায়, জৈনক হামিদ গাজীর কাছে থেকে তিনি জমি ক্রয় করার পর থেকে দীর্ঘদিন যাবত তারা দোকান ঘর নির্মাণ করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। কয়েকদিন আগে প্রতিদিনের ন্যায় তিনি দোকান বন্ধ করে বাসায় চলে যায়। সকালে এসে দেখতে পান দোকানের সামনে লিখন নামের একজনের সাইন বোর্ড। সে বিষয়টি নিয়ে লিখন খানের সাথে কথা বলতে গেলে ব্যবসায়ী সুরুজকে হত্যার হুমকি দেয় ব্যবসায়ী লিখন খান। আহত সুরুজ আরো জানায়, এ বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ক্যাম্পে অভিযোগও দেয়া হয়েছে বলে। লিখন খান কারো কোন কথার তোয়াক্কা না করেই আমার দোকান ঘরটি দখলে নেয় বলে জানান তিনি।
স্থানীয়রা জানায়, এ বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন আহত সুরুজের স্ত্রী লাকি বেগম। অভিযোগের ব্যাপারে বন্দরথানার এ এস আই ফারুক হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলে তিনি ঘটনার সত্যতা পান।
এস আই ফারুক হোসেন জানান, আমি ঘটনার সত্যতা পেয়েছি এবং ২ পক্ষকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এএসআই ফারুক চলে যাওয়ারপরেই বাদীর স্বামী সুরুজের উপর অর্তকিত হামলা চালায় লিখন খানসহ তার ভাইয়েরা। এসময় সুরুজকে বাচাতে এগিয়ে আসে সাইফুল ইসলাম খান। তখন তাকেও এলোপাতারি কুপিয়ে জখম করে লিখন গংরা।
বিষয়টি বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম জানান, আমি ঘটনাটি শুনেছি তবে কেউ অভিযোগ করেনি।
সম্পাদনা: আমাদের বরিশাল ডেস্ক
শেয়ার করতে ক্লিক করুন: | Tweet |