বরমপাল্টায় মতুয়াদের তাৎপর্যপূর্ণ মহোৎসব
স্থানীয় প্রতিনিধি
শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের অন্যতম আজ্ঞা “ হাতে কাজ ও মুখে নাম “ এবং শ্রী শ্রী গুরুচাঁদ ঠাকুরের অমোঘ বাণী “ খাও বা না খাও, ছেলেমেয়েদের শিক্ষা দাও “ – এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গোপালগঞ্জ জেলার বরমপাল্টা গ্রামের তালুকদারবাড়ির ঐতিহ্যবাহী বাৎসরিক মহোৎসব আজ সম্পন্ন হলো ।
ধর্মীয় ভাব-গম্ভীর পরিবেশের মধ্য সহস্রাধিক ভক্তকুলের পদার্পণে মুখরিত হয়ে ওঠে তালুকদার বাড়ির মন্দির প্রাঙ্গন । ডঙ্কা-কাশির তালে তালে হরিনাম সংকীর্তনের নিনাদে আকাশে বাতাসে আরো একবার ধ্বনিত হলো সৃষ্টিকর্তার প্রশংসাবাণী । বংশীয় পরম্পরা মেনে শ্রীধাম ওড়াকান্দির আশির্বাদধন্য হয়ে এই মহোৎসব শুরু হয়ে ছিলো বহু বছর আগে । অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আজ এই আয়োজন একটি উৎকৃষ্ট পর্যায়ে এসে পৌছেছেঁ । আর তাইতো এই আয়োজনকে ঘিরে ভক্তবৃন্দ, পূজারী ও দর্শনার্থীদের মধ্যে বিপুল উৎসাহ পরিলক্ষিত হয়েছে ।
গত বুধবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যা আরোতির মাধ্যমে আরম্ভ হয় এই মহোৎসবের । পরমপুরুষ শ্রীমৎ জোটাধর গোসাই মন্দির প্রাঙ্গনে পদার্পণের সঙ্গে সঙ্গে সকলে হরিনামে মাতোয়ারা হয়ে ওঠে । তখন একটা অন্যরকম আবহের সৃষ্টি হয় । উপস্থিত ভক্তবৃন্দের পক্ষে বক্তৃতা প্রদান করেন তালুকদার বাড়ির পরিচালক ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শরৎ তালুকদার ।
তিনি বলেন, শ্রীধাম ওড়াকান্দির ঠাকুরবাড়ির আশির্বাদধন্য এই মহোৎসব শুরু করেছিলেন আমাদের পূর্বপুরুষগণ । আমরা তার ধারাবাহিকতা রক্ষা করে চলেছি । শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর ও শ্রী শ্রী গুরুচাঁদ ঠাকুরের আদর্শ ও মাহাত্ব্য প্রচার এবং প্রসার করাই আমাদের কাজ । সেই সাথে তিনি শিক্ষা আন্দোলনের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন । এই মহোৎসবের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আজ ছুটে আসেন উজানী ইউনিয়নের পুনঃনির্বাচিত চেয়ারম্যান শ্যামল বোস । সঙ্গে ছিলেন ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত মেম্বার ত্রিনাথ পাণ্ডেসহ এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ ।
আজ সারাদিন মতুয়াদের মাতাম আর হরি সঙ্গীতের মূহুর্মূহু সুরব্যাঞ্জনায় উপস্থিত সকলেই ধর্মীয় ভাবা বেগে উদ্বেলিত হয়ে ওঠে । অবশেষে সকলের মহাপ্রসাদ গ্রহণের পর অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয় ।
এ জাতীয় আরো খবর..