৩ July ২০২৫ Thursday ৪:০৬:৫৩ PM | ![]() ![]() ![]() ![]() |
বরগুনা প্রতিনিধি:

সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া স্কুলছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে তিনজনের বিরুদ্ধে বুধবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন স্কুলছাত্রীর বাবা। বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও জেলা জজ লায়লাতুল ফেরদৌস মামলাটি বরগুনা থানার ওসিকে এজাহারভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার প্রধান আসামি হলেন বরগুনা সদর উপজেলার আজগরকাঠি গ্রামের শাহিন দফাদারের ছেলে মো. সাকিব ওরফে শামিম (২২)। শামিমের সহযোগী আপন বড় ভাই মো. সাইফুল (২৫) ও শামিমের মা মোসা. খাদিজা বেগম (৪৫)।
আদালতের বিশেষ পিপি রনজুয়ারা সিপু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। স্কুলছাত্রীর বাবা অভিযোগ করে বলেন, আমার ১৪ বছরের মেয়ে স্থানীয় একটি স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। আসামি শামিম স্কুলে যাওয়া আসার পথে তাকে উত্যক্ত করে আসছিল। এ নিয়ে আমি আসামি শামিমের বিরুদ্ধে তার বড় ভাই ও মায়ের কাছে অভিযোগ জানায়।
এতে শামিম অপমানবোধ করে প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে ওঠে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২২ জুন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আমার মেয়ে স্কুলে যাওয়ার পথে বরগুনার ঢলুয়ার মোবারক মৃধা বাড়ির উত্তর পাশে তিন রাস্তার মোড়ে পৌঁছে। এ সময় শামিম তার দুই বন্ধুর সহায়তায় আমার মেয়েকে জোরপূর্বক খুনের ভয় দেখিয়ে অপহরণ করে।
বাদি জানান, ঘটনার দিন আমার মেয়ে নির্ধারিত সময় বাড়িতে না ফিরলে আমরা খোঁজ করতে থাকি। পরে জানতে পারি শামিম তার দুই বন্ধুকে নিয়ে আমার মেয়েকে জোরপূর্বক অপহরণ করেছে। আমি একদিন পরে শামিমের বড় ভাই ও মায়ের কাছে গিয়ে আমার মেয়েকে চাই। তারা বলেন, তাদের বিয়ে হয়েছে। তারা ভালো আছে।
তার ভাষায়, ‘পরে বরগুনা থানায় মামলা করতে যাই। থানায় মামলা নেয়নি পুলিশ। শামিম আমার মেয়েকে কোথাও আটকে রেখেছে। আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে হত্যাও করতে পারে। ১০ দিন পর্যন্ত আমার মেয়ের কোনো খোঁজ নেই।
আমার মেয়ে শামিমের কাছে রয়েছে। ’এদিকে থানা পুলিশ মামলা নেয়নি- এমন অভিযোগের জবাবে বরগুনা থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, আমার থানায় এ ঘটনা নিয়ে কেউ মামলা করতে আসেনি। অন্যদিকে আসামি শামিমের ফোন বন্ধ থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
সম্পাদনা: আমাদের বরিশাল ডেস্ক
শেয়ার করতে ক্লিক করুন: | Tweet |