বরগুনায় মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়ায় বাদী ও আসামিসহ ৩ জন কারাগারে

বরগুনায় মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়ায় বাদী ও আসামিসহ ৩ জন কারাগারে

১০ November ২০২৫ Monday ৯:৪৭:২৫ PM

Print this E-mail this


বরগুনা প্রতিনিধি:

বরগুনায় মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়ায় বাদী ও আসামিসহ ৩ জন কারাগারে

নারী নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলায় শপথ পড়ে মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়ার অভিযোগে বাদী ও আসামিসহ তিনজনকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও জেলা জজ লায়লাতুল ফেরদৌস এ আদেশ দিয়েছেন।

জানা যায়, মামলার বাদী হাফেজা মোসা. সুমাইয়া আক্তার মিম (২১) বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলার শারিকখালী গ্রামের আবু হানিফ খানের ছেলে মো. মহিবুল্লাহসহ চারজনের বিরুদ্ধে ওই ট্রাইব্যুনালে গত বছরের ২৮ জুলাই একটি মামলা দায়ের করেন। বাদীর অভিযোগ ছিল তার স্বামী মহিবুল্লাহসহ চারজন আসামি বাদীর কাছে দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে তাকে শারীরিক নির্যাতন করেন।

এ মামলায় আসামি মো. মহিবুল্লাহর বিরুদ্ধে বাদীসহ ৫ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। সোমবার ওই ট্রাইব্যুনালে বাকি সাক্ষীর জন্য ধার্য তারিখ ছিল। এ দিন বাদী আদালতে দাঁড়িয়ে বলেন, আমরা আপস করেছি। আমার মামলার ঘটনা সত্য ছিল না।

পিপি রনজুয়ারা সিপু বলেন, বাদী একজন কুরআনে হাফেজা। আমরা তাকে সম্মান করি। বাদীসহ পাঁচজন সাক্ষ্য দেওয়ার পরে আদালতে দাঁড়িয়ে বাদী বলেন- আমি মিথ্যা মামলা করেছিলাম। সামান্য ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। অথচ আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে শপথ পড়ে বাদীসহ পাঁচজন মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়েছেন। এখন বলে মিথ্যা মামলা করেছি।

তিনি বলেন, মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়ার অপরাধে বিচারক বাদী হাফেজা মোসা. সুমাইয়া আক্তার মিম, তার নানা মো. শাহ আলম সিকদার ও আসামি মো. মহিবুল্লাহকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন।

পিপি রনজুয়ারা সিপু আরও বলেন, আসামি মো. মহিবুল্লাহ বাদীকে ভুল বুঝিয়ে আদালতে দাঁড়িয়ে মিথ্যা বলাতে সহায়তা করেছে। এ কারণে আসামির জামিন বাতিল করে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

তিনি আরও বলেন, এ মেসেজটি সবার কাছে পৌঁছে গেলে মিথ্যা মামলা অনেকাংশে কমে যাবে। আদালত সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী মাহবুবুল বারি আসলাম বলেন, এতদিন আসামি আমার ল’ চেম্বারে আসতেন। ৫ জন সাক্ষ্যের জেরা করেছি। আজকে আসামি আমার চেম্বারে আসেননি। এখন শুনি বাদীর সঙ্গে আপস করেছেন। আমার কাছে যদি আবার আসেন তাহলে আদালতে জামিন চাইব।

সম্পাদনা: আমাদের বরিশাল ডেস্ক


শেয়ার করতে ক্লিক করুন:

Explore More Districts