
সার্বিকভাবে সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি নিজে পর্যবেক্ষণ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বন্যা মোকাবিলায় সব ধরনের দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, বন্যা মোকাবিলায় সার্বিক দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি খোঁজ-খবর রাখছেন।’
শনিবার (১৮ জুন) বিকেলে সরকারি দেবেন্দ্র কলেজ হলরুম মিলনায়তনে মানিকগঞ্জ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বন্যা মোকাবিলায় সারা দেশে ১৪০টি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। ওসব মেডিক্যাল টিম প্রতিটি জেলা-উপজেলা ও ইউনিয়নে গিয়ে সেবা দেবে। এ জন্য ঢাকায় সমন্বয়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলা-উপজেলা ও ইউনিয়নের কার্যক্রম মনিটরিং করবে সমন্বয়ক কমিটি।
তিনি আরও জানান, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বন্যার পানি ঢুকেছে। সেখানে বিদ্যুৎ নেই। জেনারেটরের মাধ্যমে হাসপাতালে চিকিৎসা কার্যক্রম চালু রাখা হয়েছে।
এদিকে একই দিনে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ভয়াবহ বন্যায় আক্রান্ত সুনামগঞ্জ ও সিলেটের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রেখেছে পিডিবি এবং পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। আমরা দুর্যোগকালীন টিম গঠন করে সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি মনিটর করছি। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোর ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, দুই জেলার ৮ উপজেলায় সেনাবাহিনীর ১০ প্লাটুন এবং ৬টি মেডিকেল টিম পানিবন্দি মানুষকে উদ্ধার, আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন, আক্রান্তদের চিকিৎসা, বিশুদ্ধ খাবার পানি এবং খাদ্য সামগ্রী প্রদান ও স্পর্শকাতর স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বন্যার্তদের জন্য ইতিমধ্যে ৬০০ আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আমরা সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির দ্রুত উত্তরণ কামনা করছি।