বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা চক্ষু হাসপাতালে শিশুদের জন্য ডে-কেয়ার সেন্টার
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক,গোপালগঞ্জ
গোপালগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের ৩ শ’ কর্মীর মধ্যে ২৫০ জন নারী চিকিৎসক,কর্মকর্তা, নার্স ও কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন। এ প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের সিংহভাগই নারী। তারা সন্তানদের বাড়ি বা স্বজনদের কাছে রেখে কর্মস্থালে উদ্বেগ অর উৎকন্ঠার মধ্যে সেবা দেন। নারী কর্মীদের কর্মবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টিতে হাসপাতালটিতে ডে-কেয়ার সেন্টার চালু করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার হাসপাতালের ৩য় তলায় প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক প্রফেসর ডা. নাহিদ ফেরদৌসী শিশুদের ডে-কেয়ার সেন্টারের উদ্বোধন করেন।
এ সময় হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা.একেএম আনওয়ারুল রউফসহ আরো অনেকে বক্তব্য রাখেন।
হাসপাতালের পরিচালক প্রফেসর ডা. নাহিদ ফেরদৌসী বলেন, আমার হাসাপাতালে ৯০ ভাগ কর্মী নারী। অনেকে সন্তানদের সাথে নিয়ে আসেন। এক নারী কর্মীর একটি শিশু হাসপাতালের একটি রাউন্ড টেবিলে ঘুময়ে ছিলো। একটু ঘুরলেই শিশুটি সেখান থেকে পড়ে যাবে। এটি দেখে আনার মনে দাগ কেটেছে। তাই মানবিক কারণে আমি এখানে ডে-কেয়ার সেন্টার করার কথা চিন্তা করি। মায়ের কাছে তার সন্তান সবচেয়ে প্রিয়। মা সন্তানকে বাইরে রেখে কর্মস্থলে মনোযোগ দিতে পারেন না। এখানে কর্মরত নারীদের কর্মবান্ধব পরিবেশ সৃস্টি করতে ডে-কেয়ার সেন্টার উদ্বোধন করা হয়েছে। এখানে শিশুদের জন্য খাবার, খেলাধূলা, চিত্রাংকন সহ পরিচর্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া ব্রেস্টফিডিং কর্ণারও এখানে রাখা হয়েছে। কাজে ফাঁকে মায়েরা সন্তানের খোঁজ নিতে পারবেন। এতে তাদের মন ভাল থাকবে। রোগীরা ভাল সেবা পবেন।
তিনি আরো বলেন, নারীদের একসাথে সংসার, চাকরি ও সন্তান সামলা দিতে হয়। আমি নিজেও একজন নারী। তাই তাদের কষ্ট আমি অনুভব করি। হাসপাতালে রোগী সেবার মান নিশ্চিত করতেই আমরা ডে-কেয়ার সেন্টার করেছি। এ থেকে সবাই সুফল পাবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।
হাসপাতালের সিয়ির স্টাফ নার্স সাগরিকা বাড়ৈ বলেন, ডে-কেয়ার সেন্টার করা হয়েছে। এতে আমার বাচ্চা ও আমি খুবই উপকৃত হব। এখন আর বাচ্চা নিয়ে টেনশন থাকবে না। হাসপাতালের কাজ টেনশন মুক্ত হয়ে করতে পাবর। এতে অনেক বেশি রোগীকে সেবা দিতে পারব। এ উদ্যোগের জন্য পরিচালক স্যারকে ধন্যবাদ জানাই।
সিনিয়র স্টাফ নার্স শিপ্রা বাড়ৈ বলেন, ডে-কেয়ার সেন্টারে শিশুবান্ধব সব কিছুই রাখা হয়েছে। এখানে শিশুদের ভালই কাটবে। আমিও আমার সন্তানের খোঁজ নিতে পারব। তাই এটি করে পরিচালক মহোদয় আমাদের জন্য নিশ্চিন্ত কর্মস্থল উপহার দিয়েছেন।
এ জাতীয় আরো খবর..