দপ্তরি কাম প্রহরীদের চাকরি জাতীয়করণ ও ঈদ বোনাস পুনর্বহালসহ ৪ দফা দাবিতে শান্তিপূর্ণ লাগাতার অবস্থান সোমবারও অব্যাহত রেখেছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম প্রহরী সমন্বয় কেন্দ্রীয় পরিষদ।
সোমবার (১ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানী ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ষষ্ঠ দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন পরিষদের সদস্যরা।
এর আগে বুধবার (২৭ মার্চ) থেকে লাগাতার এই কর্মসূচি শুরু করেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম প্রহরী সমন্বয় কেন্দ্রীয় পরিষদ।
৪ দফা দাবিতে শান্তিপূর্ণ লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির ষষ্ঠ দিনের বক্তব্যে পরিষদ নেতারা বলেন, ২০১৩ সালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দপ্তরি কাম প্রহরী আউটসোর্সিং নীতিমালার অস্থায়ী চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৃজিত পদে ৩৭ হাজার দপ্তরি কাম প্রহরী নিয়োজিত রয়েছেন।
৩৭ হাজার দপ্তরি কাম প্রহরী আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান। সরকারের আস্থায় ও নির্ভর করে দীর্ঘ ১১ বছর আউটসোর্সিং নীতিমালায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিবারাত্রি সার্বক্ষণিক ২৪ ঘণ্টা অমানবিক দায়িত্ব, সর্বসাকূল্যে বেতন নিয়ে শ্রদ্ধার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছেন পরিষদের সদস্যরা।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় দপ্তরি কাম প্রহরী সমন্বয় কেন্দ্রীয় পরিষদের চেষ্টায় চাকরি জাতীয়করণের লক্ষ্যে বিগত ২০১৯ সালে বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান খান, এমপি, মাদারীপুর-২, মজিবুল হক চুন্নু, এমপি, মমতাজ, এমপি চাকরি জাতীয়করণের লক্ষ্যে সংসদে প্রস্তাব উত্থাপন করেন।
পদটি আউটসোর্সিংয়ে না থাকায়, রাজস্বখাতে পদ সৃজনের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে রাজস্বখাতে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়।
কিন্তু জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় দপ্তরি কাম প্রহরী পদটি ‘আউটসোর্সিং’ দেখিয়ে চিঠি জারির মাধ্যমে জানায় ‘রাজস্বখাতে’ যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। দ্বিতীয়বার প্রস্তাব পাঠালে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে প্রস্তাবটি পাঠানোর জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাবটি পাঠানো হয়নি।
এবিষয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম প্রহরী সমন্বয় কেন্দ্রীয় পরিষদের আহ্বায়ক মামুন সরদার ৪টি দাবি উপস্থাপন করে বলেন, দপ্তরি কাম প্রহরীদের পদটি জাতীয়করণ করতে হবে। আমাদের কষ্টকে মূল্যায়ন করে উৎসব ভাতা, বৈশাখী ভাতা ও শিক্ষাভাতা পুনর্বহাল করার জোর দাবি জানাই।
এছাড়া ২০২৩ থেকে সরকার ঘোষিত ৫ শতাংশ প্রণোদনা সর্বনিম্ন ১ হাজার টাকা ৪ ও সার্বক্ষণিক ২৪ ঘণ্টা ডিউটি থেকে মুক্তি চাই। তা না হলে ভবিষ্যতে আরো কঠোর আন্দোলনের ডাক দেবো আমরা।
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন সমন্বয় পরিষদের সদস্য সচিব আব্দুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শামিম রেজা প্রমুখ।