মধ্যবিত্ত, চাকরিজীবী ও ব্যবসায়ীদের কাছে নিজের একটি ফ্ল্যাট থাকা দীর্ঘদিনের স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে বড় ভূমিকা রাখছে আবাসন ঋণ। এ কারণে প্রায় সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান দীর্ঘমেয়াদি আবাসন ঋণ দিচ্ছে। ঋণ দেওয়ার আগে গ্রাহকের পরিচয়, আয়ের উৎস ও চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানের বিশ্বাসযোগ্যতা যাচাই করা হয়।
চলতি বছরে আবাসন ঋণে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক। গত নভেম্বরে প্রতিষ্ঠানটি এ খাতে ১০০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করেছে। ব্যাংকটির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) আবেদুর রহমান সিকদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা আবাসন ও ব্যক্তিগত ঋণে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। এসব ঋণে সাড়া ভালো।’
তথ্য অনুযায়ী, আবাসন ঋণ বিতরণে শীর্ষ ব্যাংকের তালিকায় রয়েছে আইএফআইসি, ব্র্যাক ব্যাংক, দি সিটি ব্যাংক, ডাচ্-বাংলা, প্রাইম ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ও ব্যাংক এশিয়া। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ডিবিএইচ, আইডিএলসি, আইপিডিসি, ন্যাশনাল হাউজিং ও লংকাবাংলা এগিয়ে আছে। কৃষকদের জন্য বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন চালু করেছে বিশেষ কৃষক আবাসন ঋণ কর্মসূচি।
দেশে আবাসন ঋণের সুদহার কমিয়ে প্রথম বড় আলোচনায় আসে বেসরকারি খাতের আইএফআইসি ব্যাংক। ২০১৫ সালের শুরুর দিকেও ব্যাংকটি যেখানে গৃহঋণের বিপরীতে ১১ দশমিক ৯৫ শতাংশ সুদ নিত, সেখানে ডিসেম্বরে তা কমিয়ে ৯ দশমিক ৯৯ শতাংশে নামিয়ে আনে। তখন ব্যাংক খাতে সুদহার ছিল ১৫ শতাংশের ওপরে। প্রতিষ্ঠানটি কম সুদে ঋণ বিতরণে সাফল্য পায়। গ্রাহকেরা সবচেয়ে বেশি আবাসন ঋণ নেন আইএফআইসি ব্যাংক থেকে। ব্যাংকটির ‘আমার বাড়ি’ নামে আলাদা একটি পণ্য রয়েছে। এই ব্যাংককে অনুসরণ করে অন্যান্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান একই পথে হাঁটতে শুরু করে।
সিটি ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক অরূপ হায়দার বলেন, ফ্ল্যাট কেনা একটি মৌলিক চাহিদা পূরণের বিষয়। তাই অর্থনৈতিক চাপের মধ্যেও এই খাতে ঋণ বিতরণ অব্যাহত আছে।

