মহসিন মোল্যা, বিশেষ প্রতিবেদক-
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা অপ-প্রচারের প্রতিবাদে রবিবার বিকেলে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার দ্বারিয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগীরা।
এ সময় ভুক্তভোগী কামাল মৃধা বলেন, কিছু টাকা পয়সার লেনদেন তাদের মধ্যে ছিল। সে আমাদের প্রতিবেশি। আমাদের মধ্যে দু-কথা হতেই পারে। আমি, আমার বউ ছেলে মেয়ে আমার সাথে গেছে, সে আমাদের প্রতিবেশি আমি কেন তার সাথে খারাপ আচরণ করবো। কিন্তু এ বিষয় নিয়ে মুজাহিদ আমার কাছে ৩০ হাজার টাকা চাই। আমি তাকে ৩ হাজার টাকা দিয়েছি। বাকি টাকা না দেওয়ায় সে এ কাজ করেছে। আমি তার বিচার চাই।
কামাল মৃধার স্ত্রী শিমু খাতুন বলেন, আমি, আমার স্বামী, আমার মেয়েও ছিল আমার সাথে আমরা কাকীর সাথে কিছু টাকা লেনদেন ছিল তা আনতে যায়। এ সময় আমাদের একটু কথা কাটাকাটি হয়। এ বিষয় নিয়ে সাংবাদিক মুজাহিদ তার কাছ থেকে কি বয়ান নিয়েছে আমি জানিনা। পরে আমাকে ভয় দেখিয়ে ৩০ হাজার টাকা দাবি করে। আমি ৩ হাজার টাকা দিয়েছি। বাকি টাকা না দেওয়ায় হুমকি দিয়ে বলে টাকা দিলেন না, কি করা যায় দেখছি। আজ সকালে দেখছি ফেসবুকে এই ভিডিও ছাড়ছে। এর সাথে সাংবাদিক বিকাশ বাছাড় ও জড়িত। আমি তাদের বিচার চাই।
অভিযোগকারী শিখা রানী বাছাড় বলেন, কামাল কাকা আমার প্রতিবেশী। তার সাথে আমার কিছু টাকা-পয়সা লেনদেন হয়েছে। মোবাইলে সমস্যার কারণে সকালে আমার বাড়ির উপর আসছিল, একটু কথা কাটাকাটি হয়। থানায় একটি রিপোর্ট করেছি। তাই বলে এই নই যে, আমি সাংবাদিক মুজাহিদ আর বিকাশের দিয়ে এ কাজ করেছি, তা কিন্তু নই৷ এখন আমার স্বামীর সাথে সংসার করায় কষ্ট হয়ে গেছে। তারা এ কাজ কেন করলো। আমি তাদের বিচার চাই।
এ বিষয়ে দ্বারিয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান গোলাম বলেন, এ ঘটনাটা সত্যি না। বিকাশ ও মুজাহিদ কোন পত্রিকার সাংবাদিক? ওয়া ভূয়া সাংবাদিক। ওরা সব জায়গায় গিয়ে এলোমেলো করে টাকা-পয়সা খাওয়ার ধান্দা করে।
পোষ্ট শেয়ার করুন