ফের উত্তপ্ত রোহিঙ্গা ক্যাম্প : আরসা-আরএসও সংঘর্ষে নিহত ৪ – দৈনিক আজাদী

ফের উত্তপ্ত রোহিঙ্গা ক্যাম্প : আরসা-আরএসও সংঘর্ষে নিহত ৪ – দৈনিক আজাদী

আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রোহিঙ্গা ক্যাম্প। এবার কক্সবাজারের উখিয়ার ক্যাম্পে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালুভেশন আর্মি (আরসা) ও রোহিঙ্গা স্যালিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও) সন্ত্রাসী দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পৃথক স্থানে তিন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ১৭ ও ১৫ তে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম হোসেন।

নিহতরা হলেন- ১৭ নম্বর ক্যাম্পের এইস/৭৭ ব্লকের বাসিন্দা আবুল বশরের ছেলে আবুল কাসেম (৩৫)। তিনি আরসা সদস্য বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়াও নিহত ১৫ নম্বর ক্যাম্পের জি/৩ ব্লক এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ আলীর ছেলে মোহাম্মদ জোবায়ের (১৬) ও ১৫ নম্বর ক্যাম্পের জি/৩ ব্লক এলাকার বাসিন্দা কামাল উদ্দিনের ছেলে জয়নাল উদ্দিন (২৭)।

তারা দুজন আরএসও সদস্য বলে ধারণা করছে আইশৃঙ্খলা বাহিনী।

এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধরা হয়েছে-১৫ নম্বর ক্যাম্পের জি/৬ মো. শফির ছেলে আনোয়ার সাদেক (২৭), জি/৩ ব্লক এলাকার বাসিন্দা কামাল উদ্দিনের ছেলে জয়নাল উদ্দিন (২৮) ও জি/৭ সৈয়দুল বশরের ছেলে আয়াছ (১৮)।

অপরদিকে মঙ্গলবার বিকালে উখিয়া উপজেলার ৪ নম্বর ক্যাম্পে সন্ত্রাসী হামলায় গুলিতে নিহত হয়েছিল ইমাম হোসেন নামের আরেক রোহিঙ্গা।

এ নিয়ে একদিনে পৃথক সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় নিহত হয়েছে চারজন রোহিঙ্গা।

পুলিশ ও ক্যাম্পের একাধিক সূত্র বলছে- মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ১৭ নম্বর ক্যাম্পের সি/৭৭ ব্লক এলাকায় ১০/১২ আরসা সদস্য একত্রিত হয়ে ১৭ নম্বর ক্যাম্পের এইস/৭৭ ব্লকের বাসিন্দা আবুল বশরের ছেলে আবুল কাসেম (৩৫) এর মাথায় ২ রাউন্ড গুলি করে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হন কাসেম।

এ ঘটনার পর ১৫ নম্বর ক্যাম্পের জি/৩ ব্লক এলাকায় আরএসও সদস্যদের লক্ষ্য করে ১২-১৩ রাউন্ড গুলি চালায় আরসার সদস্যরা। এতে আরএসও সদস্য জোবায়ের ও জয়নাল নিহত হন।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম হোসেন বলেন, ‘ক্যাম্প ১৫ এবং ক্যাম্প ১৭ এলাকায় আরসা ও আরএসও সন্ত্রাসীদের গোলাগুলিতে তিনজন নিহত হয়েছে। বর্তমানে ক্যাম্প এলাকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনি ব্যবস্থা প্রতিক্রিয়াধীন।’

Explore More Districts