মালয়েশিয়ায় কট্টরপন্থী জেমাহ ইসলামিয়াহ (জেআই) গ্রুপের সদস্য বলে সন্দেহ করা এক ব্যক্তি দেশটির একটি থানায় হামলা চালিয়ে দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে। আল জাজিরা জানিয়েছে, ওই হামলায় আহত হয়েছেন আরেক পুলিশ কর্মকর্তা।
দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য জোহরের উলু তিরাম শহরে শুক্রবার (১৭ মে) ভোরে ওই হামলার ঘটনা ঘটে।
মালয়েশিয়ার ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ রাজারুদ্দিন হোসেন নিউ স্ট্রেইটস টাইমস পত্রিকাকে বলেছেন, হামলার সময় ওই থানার কর্তব্যরত পুলিশ এক দম্পতির সঙ্গে দুই বছরের পুরনো একটি মামলা নিয়ে কথা বলছিলেন। এমন সময় সন্দেহভাজন ব্যক্তি ছুরি হাতে তাদের পেছনে এসে দাঁড়ায়।
সন্দেহভাজন ব্যক্তি এক অফিসারকে ছুরিকাঘাত করে তার সার্ভিস রিভলভারটি কেড়ে নেন। এরপর ওই রিভলভার দিয়ে আরেক অফিসারকে গুলি করেন।
রাজারুদিন বলেন, তদন্তকারীরা সন্দেহ করছেন যে, ছুরিকাঘাতে আহত পুলিশ কর্মকর্তার গুলিতে ওই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
রাজারুদিন মালয়েশিয়ার মিডিয়াকে বলেছেন, পুলিশ থানার থেকে অনেক দূরে সন্দেহভাজন ব্যক্তির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে জেআই-সম্পর্কিত অসংখ্য জিনিসপত্র খুঁজে পেয়েছে। তার পরিবারের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ আরও বলেছে, হামলাকারীর ৬২ বছর বয়সি বাবা একজন পরিচিত জেআই সদস্য।
মালয় মেইল নিউজ রাজারুদিনকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, দেশটির সিঙ্গাপুরের সীমান্তবর্তী রাজ্যে বসবাসরত জেআই-এর অন্যান্য সদস্যদেরও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, জেমাহ ইসলামিয়াহ হলো আল-কায়েদা-সংশ্লিষ্ট একটি গোষ্ঠী, যার লক্ষ্য ইন্দোনেশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াজুড়ে কট্টরপন্থী ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা।
২০০০ সালে জানা যায়, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, কম্বোডিয়া এবং ফিলিপাইনে জেআই-এর সদস্য রয়েছে।
২০০২ সালের অক্টোবরে বালিতে হামলাসহ একাধিক মারাত্মক বোমা হামলার পরিকল্পনা করেছে গোষ্ঠীটি।
মালয়েশিয়ায় গোষ্ঠীটির শীর্ষ নেতার নাম নুরদিন মুহাম্মাদ। নূরিন জোহরের বাসিন্দা এবং তিনি উলু তিরামে একটি ধর্মীয় বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন বলে জানা গেছে।
এই জেআইকে নিষিদ্ধ সংগঠনের তালিকায় রেখেছে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুর।