ফেনী | তারিখঃ October 23rd, 2023 | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 6972 বার

বিশেষ প্রতিবেদক->>
ফেনীতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য নজির পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বড় জামে মসজিদ ও জয় কালী মন্দির। যেখানে যে যার ধর্ম পালন করছেন। মাত্র কয়েক গজের ব্যবধানে একদিকে পূজা অর্চনা, আরেক দিকে আজানের ধ্বনি―দুই সম্প্রদায়ের মধ্যকার বন্ধনকে দৃঢ় করছে প্রায় দেড়শ বছর ধরে।
জানা যায়, ফেনী শহরের ট্রাংক রোডে কয়েক গজ ব্যবধানে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে আছে কেন্দ্রীয় বড় জামে মসজিদ ও জয় কালী মন্দির। ধর্মীয় উপসনালয় দুটি গায়ে গা লাগিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ধর্মীয় সম্প্রীতির উদাহরণ হয়ে। ১৮৭৬ সালে ত্রিপুরার রাজা বীর বিক্রম কিশোর মাণিক্য বাহাদুর ফেনী শহরে মন্দির ও মসজিদের জন্য ৫০ শতাংশ করে জমি বরাদ্দ দেন।
কালি মন্দিরে আসা ভক্ত-পূজারীদের মতে, দীর্ঘদিনের সম্প্রীতি অটুট রাখতে চান তারা। মুসলিম ধর্মের প্রতি সম্মান জানিয়ে মন্দির প্রাঙ্গণে নামাজের সময়সূচী রয়েছে।
দুর্গাৎসবে অংশ নিতে কালি মন্দিরে আসেন সনাতন ধর্মালম্বী হাজার হাজার নারী-পুরুষ। আবহমান কাল থেকেই বাঙালি সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ। নামাজের সময় উলুধ্বনি, ঢাক বাজানো বন্ধ রাখা হয়। অন্য ধর্মকে সম্মান দেয়া এটাই সম্প্রীতি। সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ থাকতে চান তারা।
মুসল্লিারা বলেন, বড় মসজিদে নামাজ ও কালি মন্দিরে পুজা আমাদের জম্মের পর থেকে দেখে আসছি। বড় মসজিদ ও কালি মন্দির পাশাপাশি হলেও মুসল্লিরা নামজ আদায়ের সময় তারা ঢোল, বাদ্য, উলুধ্বনি বন্ধ রাখেন। আমাদের কোনো সমস্যা হয় না।
ফেনী জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শুসেন চন্দ্র শীলসহ নেতৃবৃন্দ বলেন, দুর্গাপূজা সব জায়গায় ভালোভাবে উদযাপন হচ্ছে। সনাতন ধর্মালম্বীদের সঙ্গে মুসলিম ভাইয়েরা সহযোগিতা করে। মুসলিম ও হিন্দু উভয়ে ভালো আছেন। পাশাপাশি মসজিদে নামাজ ও মন্দিরে পুজা শত বছর ধরে চলে আসছে। মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ নামাজ আদায় ও সনাতন ধর্মলম্বীরা তাদের ধর্মীয় উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে পালন করবেন, এটাই আশা আমাদের।