দিনাজপুর সংবাদাতাঃ দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ধান ও চালসহ খাদ্যপণ্যের মজুত ঠেকাতে মাঠে তৎপর হয়েছে উপজেলা প্রশাসন। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে এবং দিনাজপুর জেলা প্রশাসকের সার্বিক দিকনির্দেশনায় গত মঙ্গলবার (৩১ মে) বিকেল সাড়ে ৫ টা থেকে উপজেলা প্রশাসন খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে খাদ্যপণ্যের অবৈধ মজুত বিরোধী অভিযান শুরু করেন। যা গত বুধবার (১ জুন) গভীর রাত পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. রিয়াজ উদ্দিনের নেতৃত্বে অভিযানে সঙ্গে ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট শামীমা আক্তার জাহান পপি, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. কাজিম উদ্দিনসহ ফুলবাড়ী থানার পুলিশ সদস্য ও অনসার সদস্যরা।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ফুলবাড়ীতে ধান ও চালের অবৈধ মজুত ঠেকাতে অভিযানকারী দল প্রথমে রাঙামাটিস্থ প্রাণ এ্যাগ্রো বিজনেস লিমিটেডের বঙ্গ মিলারস লিমিটেড, মির্জা অটোরাইস মিল এবং আমিন অটোরাইস মিলে অভিযান পরিচালনা করেন। প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানেই নির্ধারিত ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অনেক কম ধান ও চাল মজুত পাওয়া যায়।
প্রাণ এ্যাগ্রো বিজনেস লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার জাকারিয়া হোসেন বলেন, তারা আমাদের হিসাব ও স্টক সরকারি মজুতের নীতিমালা অনুসারে তাদের মজুত কম পেয়েছে অভিযানকারী দল। প্রাণ এ্যাগ্রোম বিজনেস লিমিটেড সব সময় সরকারি নীতিমালার মধ্যে থেকে এবং সরকারের নির্দেশ আর্দেশের মধ্যে ব্যবসা পরিচালনা করে থাকে। প্রতিষ্ঠানটি কখনোই খাদ্য পণ্যের সংকট সৃষ্টি করে ব্যবসায়িক মুনাফার অপচেষ্টা করে না। এ কারণে এখানে ধান ও চাল মজুত করার প্রশ্নই আসে না।
অভিযানে নেতৃত্বকারি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, সরকারের নিয়মনীতির বাইরে কোনভাবেই ধান, চালসহ খাদ্যপণ্য মজুত রেখে সংকট সৃষ্টি করা যাবে না। এরই প্রেক্ষিতে তিনটি অটোরাইস মিলে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। প্রত্যেকটি মিলেই তাদের ধারণক্ষমতার মানদ-ের চেয়ে অনেক কম ধান ও চাল মজুত পাওয়া যায়। তবে খাদ্যপণ্য মজুত বিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখা হবে।