চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে কচুক্ষেত থেকে মেহেদী হাসান সাইমুন (১৩) নামের এক কিশোরের নিথর দেহ উদ্ধার হয়েছে। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে পৌরসভার পূর্ব বড়ালী গ্রামের তলি খেত থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মৃত সাইমুন বড়ালী সাহাজান কবির উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র এবং কৃষক রফিকুল ইসলামের একমাত্র ছেলে। পড়াশোনার পাশাপাশি ছিল কচুর লতি খাওয়ার শখ। সেই শখ পূরণ করতেই বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয় সে। কিন্তু আর জীবিত অবস্থায় ফিরে আসেনি ঘরে।
স্বজন এমরান বেপারি জানান, “সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলেও সাইমুন ঘরে ফেরেনি। চারদিকে খুঁজতে খুঁজতে হঠাৎ কচুক্ষেতে নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখি। মুহূর্তেই যেন অন্ধকার নেমে আসে আমাদের পরিবারে।”
পরিবারের দাবি, এক মাস আগে পাগলা কুকুরে কামড়েছিল সাইমুনকে। সেই আঘাতের দাগ এখন যেন আরো গভীর বেদনা হয়ে ফিরল।
খবর পেয়ে গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে শোকের ছায়া। যে কিশোরটির হাসি-খুশি ভরিয়ে রাখত পরিবার ও বন্ধুদের, তার অকাল মৃত্যুতে এলাকা জুড়ে নেমে এসেছে গভীর শোক।
ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, “ঘটনার বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।”
মেধাবী এক কিশোরের অসময়ে চলে যাওয়া শুধু একটি পরিবারকেই শোকাহত করেনি, গ্রামজুড়ে সৃষ্টি করেছে এক অবর্ণনীয় বেদনার পরিবেশ।
প্রতিবেদক: শিমুল হাছান, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫