- নারায়ণগঞ্জ, ফতুল্লা, শহরের বাইরে
- ফতুল্লায় প্রবাসির কাছে বিএনপি নেতার ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি
ফতুল্লায় প্রবাসির কাছে বিএনপি নেতার ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি
- আপডেট : October, 9, 2025, 6:53 pm
- 9 ভিউজ
নিজস্ব সংবাদদাতা:
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় কাতার প্রবাসীর কাছ থেকে ৫ লক্ষ চাঁদা দাবি করেছে বিএনপির এক নেতা খোকন মাষ্টার। খোকন মাষ্টার কুতুবপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বলে দাবী করেন তিনি।
এ বিষয়ে সদর উপজেলার পূর্ব সিহাচর এলাকার বাসিন্দা কাতার ফেরত মো: আরিফ ফতুল্লা মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, ৫ আগষ্টের পর থেকেই বিএনপি নেতা পরিচয়ে দিয়ে খোকন মাষ্টার বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় কাতার প্রবাসি মো: আরিফের কাছ থেকে সে ফোনে ও সরাসরি চাঁদা দাবী করে আসছিলো। প্রবাসি আরিফকে বৈশম্যবিরোধী মিথ্যা মামলা দেয়ার হুমকি দিয়ে প্রায়ই চাাঁদা দাবি করে আসছে। এর আগে খোকন মাষ্টার প্রবাসির কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করলে ৩ লক্ষ টাকা ইতিমধ্যে প্রবাসির কাছ থেকে নেয় খোকন মাষ্টার। এবং বাকি ২ লক্ষ টাকা না দেয়ায় চাঁদাবাজ খোকন প্রবাসিকে অব্যাহত হুমকি দিচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকালে জমি বিক্রি করতে গেলে খোকন মাষ্টার প্রবাসির নিকট ৫ লক্ষ টাকা দাবি করে। এবং টাকা দিতে অপারোগতা প্রকাশ করলে সে প্রবাসিকে মিথ্যা হত্যা মামলা এবং এলাকা ছাড়া করার হুমকি প্রদান করে।
এ বিষয়ে ভুক্তভুগী কাতার ফেরত প্রবাসি মো: আরিফ জানান, আমি কাতার থেকে আসার পর জমি-জমার ব্যবসা করছি। অত্র এলাকায় ব্যবসা করতে গেলে খোকনকে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। ভয়ে তাকে আমি ৩ লক্ষ টাকা দেই। এবং পরবর্তীতে বাকি ২ লক্ষ টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। এরপর গত ৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকালে আমার জমি বিক্রির ক্রেতা দেখাতে গেলে খোকন আমার নিকট আরও ৫ লক্ষ টাকা দাবি করে। তার দাবিকৃত টাকা দিতে অপারোগতা প্রকাশ করলে খোকন মাষ্টার আমাকে মিথ্যা মামলার ভয় দেখিয়ে এলাকা ছাড়া করার হুমকি দিচ্ছে।
৫ আগষ্টের পর অমাকে সহ এলাকার বিভিন্ন জনকে মামলার ভয় দেখিয়ে আমার কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে বিএনপি নেতা খোকন মাষ্টার। সে যে চাঁদা দাবি করে তার প্রমান আমার কাছে আছে। আমি খোকনকে গ্রেফতার সহ কঠোর শাস্তি কামনা করছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত খোকন মাষ্টার জানান, আমি আরিফের কাছ থেকে কোনো টাকাই চাইনি। আমি কুতুবপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আমি কেনো চাদাঁ চাইবো।
নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) হাসিনুজ্জামান জানান, তদন্তকারী কর্মকর্তার সাথে কথা বলে যথাযত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (্ক্রাইম এন্ড অপারেশন) তারিক আল মেহেদী জানান, চাাঁদাবাজ যেই হোক তার বিরুদ্ধে পুলিশ ততপর রয়েছে এবং প্রবাসি চাইলে আমরা মামলা নিবো।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, ঐ নেতার বিরুদ্ধে জেলা বিএনপির আহবায়ক বরাবর একটি অভিযোগ দিতে বলেন। আমরা যথযথ ব্যবস্থা নিবো।

