প্রান্ত হত্যার দুইদিন পর অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মামলা
স্টাফ রিপোর্টার : ফরিদপুরের সরকারী রাজেন্দ্র কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র প্রান্ত মিত্র হত্যাকাÐের দুদিন পর তৃতীয় দিনে কোতয়ালী থানায় অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন পিতা বিকাশ মিত্র। এদিকে ঘটনার পর তিনদিন অতিবাহিত হলেও জানা চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাÐের প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। বুধবার (২৬ জুলাই) রাতে প্রান্তের বাবা বিকাশ মিত্র বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, কোতয়ালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শামীম হাসান বলেন, হত্যাকাÐের রহস্য উৎঘাটনে কাজ করা হচ্ছে। পুলিশের একাধিক টিম সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে মামলাটি তদন্ত করছে। তথ্যপ্রযুক্তি ও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে খুনিদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি। এ বিষয়ে কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল জলিল বলেন, প্রান্ত হত্যা মামলায় বুধবার রাতে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়েছে। মামলার তদন্তে পুলিশ ও ডিবির একাধিক টিম কাজ করছে। আশা করছি শিগগির জড়িতদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।
এ বিষয়ে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, জেলা পুলিশ সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে আলোচিত এই হত্যাকাÐের ব্যাপারে নিরলসভাবে কাজ করছে। শহরের সংশ্লিষ্ট এলাকার সব সিসিটিভি ক্যামেরা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে জড়িতদের শনাক্তের জোর চেষ্টা চলছে। উল্লেখ্য, বন্ধুর বোনকে রক্ত দেয়ার উদ্ধেশ্যে সোমবার দিনগত রাত আড়াইটার দিকে শহরের ওয়ারলেসপাড়ার ভাড়ার বাসা থেকে একটি রিকশাযোগে শিশু হাসপাতালের উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে ছুরিকাঘাতে নিহত হন প্রান্ত।
এ ঘটনার পর প্রান্তর বন্ধু হৃদয়কে থানায় ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। নিহত প্রান্ত রাজেন্দ্র কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিডি ক্লিনের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। এছাড়া প্রান্ত ফরিদপুরে ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল। রাজবাড়ীর পাচুঁরিয়ায় তাদের বাড়ি। তার বাবা একটি বেসরকারি স্কুলে শিক্ষকতা করার সুবাদে পরিবার নিয়ে ফরিদপুরে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেরন।