নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইযহার বলেন, ‘আমরা ২০১৩ সালে রক্ত দিয়েছি, ২০২১ সালে রক্ত দিয়েছি, ২০২৪ সালে রক্ত দিয়ে বাংলাদেশকে ফাসিস্টমুক্ত করেছি। কিন্তু এখন আবার অনেকে ফ্যাসিস্টের সেই ভূমিকায় ফিরে যেতে চাইছে। প্রয়োজনে আরেকটি বিপ্লব সংঘটিত হবে, তবু কাউকে বাংলাদেশে ফ্যাসিস্টের ভূমিকায় ফিরতে দেওয়া হবে না।’
সেমিনারে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, ‘৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের পতন না হলে বাংলাদেশ ভারতের অঙ্গরাজ্য হয়ে যেত। আলেমরা–মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা মাঠে নেমেছেন, রক্ত দিয়েছেন, মাদ্রাসার শত শত শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আমরা আলোচনা করে বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের ভাগ ভাগ করে আন্দোলনে নামিয়েছি। সকল রকমের সহায়তা করেছি। আমাদের এই আন্দোলন বৃথা যাওয়ার জন্য নয়।’ ভবিষ্যতে যাতে কোনো জালিম শক্তি ক্ষমতায় যেতে না পারে, সে জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির মাওলানা মহিউদ্দিন রব্বানী বলেন, ‘১৯৪৭ সাল থেকে আলেমরা রক্ত দিয়ে আসছেন, এই গণ-অভ্যুত্থানেও আমরা আলেমরা রক্ত দিয়েছি। আমাদের অবদান ভুলে গেলে চলবে না। আমরা বারবার রক্ত দিয়েছি, এবার আর রক্ত দেব না, প্রতিশোধ নেব।’ সতর্ক করে তিনি বলেন, ‘আইয়ামে জাহেলিয়াতের মতো মানুষকে এভাবে হত্যা করে ক্ষমতায় যাবেন, পার পেয়ে যাবেন, তা হবে না। মানুষ জেগে উঠলে আওয়ামী লীগের মতো পালানোর পথ পাবেন না।’