তৃণমূল অভিবাসীদের সংগঠন অভিবাসী কর্মী উন্নয়ন প্রোগ্রাম (ওকাপ) এবং আন্তর্জাতিক পরিবেশ ও উন্নয়ন ইনস্টিটিউট (আইআইইডি) জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দুই জেলা পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার ১০টি এবং সিলেটের গোয়াইনঘাটের ৯টি ইউনিয়নের মোট ৩৩টি গ্রামে জরিপ করে। জরিপে অংশ নেওয়া ৬৪৮টি পরিবারের মধ্যে ৭০ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশে অভিবাসী পাওয়া গেছে।
কেবল ওই দুই জেলাই নয়, অন্য জেলায়ও প্রতিবছর নদীভাঙন, ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের কবলে পড়ে জলবায়ু উদ্বাস্তুতে পরিণত হচ্ছে বিশাল জনগোষ্ঠী। যাঁরা ঋণ করে বিদেশে যান, তাঁরা সেই ঋণ ফেরত দেওয়ার জন্য যেকোনো কাজ করতে বাধ্য হন। এ ধরনের শ্রমিকেরা আধুনিক দাসত্বের শিকার বলে জানিয়েছেন ওই গবেষকেরা। এই দাসত্বের মধ্যে আছে শ্রমিকদের বেতন কম দেওয়া, বেতন বন্ধ রাখা, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা, চলাফেরায় বিধিনিষেধ দিয়ে রাখা ইত্যাদি। এর যেকোনো একটির শিকার হন ৯৯ শতাংশ শ্রমিক; আর ৫টির বেশি আচরণ মোকাবিলা করেছেন ৮১ শতাংশ শ্রমিক।
ওকাপ ও আইআইইডির প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বিদেশে অভিবাসনের ক্ষেত্রে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার মানুষ গড়ে খরচ করেছেন ৪ লাখ ৬১ হাজার ২২০ টাকা। এর মধ্যে ২৫ শতাংশ টাকা সংগ্রহ করেছেন জমি বিক্রি করে আর ১৮ শতাংশ নিয়েছেন চড়া সুদের ঋণ। নানা কারণে অবৈধ হয়ে পড়া এসব প্রবাসী কর্মীর কাছে পাসপোর্ট থাকে না। পুলিশের হাতে আটক হয়ে খালি হাতে ফিরে আসেন তাঁরা। গত বছর এভাবে দেশে ফিরে এসেছেন প্রায় ৮৯ হাজার কর্মী। আগের বছর একইভাবে ফিরেছেন ৮০ হাজারের বেশি কর্মী।