বিশেষ প্রতিবেদক।
প্রধানমন্ত্রীর ছবির সাথে ফরিদপুর জেলা আওয়ামীলীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক, নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট জামাল হোসেনের ছবি এডিট করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেবার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার রাত তিনটার দিকে নগরকান্দা থানা পুলিশ মোঃ হোসেন আলী (২৭) নামের ঐ যুবককে গ্রেফতার করে। সোমবার দুপুরে ফরিদপুর আদালতের মাধ্যমে অভিযুক্ত মোঃ হোসেন আলীকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। মামলার বাদি জামাল হোসেনের অভিযোগ তাকে ফাঁসানোর জন্যই একটি মহল প্রধানমন্ত্রীর ছবি এডিট করে তার ছবি যুক্ত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করেছে।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, সালথা উপজেলার নান্নু ফকিরের ছেলে মোঃ হোসেন আলী নামের এক যুবক তার ফেসবুক আইডি থেকে প্রধানমন্ত্রীর ছবির সাথে ফরিদপুর জেলা আওয়ামীলীগ নেতা এ্যাডভোকেট জামাল হোসেনের ছবি এডিট করে তা প্রচার করে। এ ঘটনা জানতে পেরে ২৫ জুন জামাল হোসেন মিয়া ফরিদপুর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ৪নং আমলী আদালতে মামলা করেন। মামলার আর্জিতে তিনি জানান, মোঃ হোসেন আলী নামের এক যুবক রাজনৈতিক ভাবে এবং পারিবারিকভাবে তাকে হেয় করতে ফেসবুক আইডি থেকে ফটোশপের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে আমার ছবি এডিট করে তা প্রচার করে। এ ঘটনাটি আমি জানতে পেরে অত্যান্ত মর্মাহত ও অপমানিত হই। আসামী একজন এন্টি আওয়ামীলীগ সমর্থক। আসামীর এহেন কার্যে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যে মানহানী হয়েছে তা টাকার অংকে নিরুপন করা সম্ভব না হলেও আনুমানিক ১০ কোটি টাকার মানহানী হয়েছে। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে নগরকান্দা থানাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন।
আদালতে মামলার প্রেক্ষিতে নগরকান্দা থানা পুলিশ রবিবার রাতে অভিযুক্ত মোঃ হোসেন আলীকে গ্রেফতার করে।
এদিকে, নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে ষড়যন্ত্রের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি আঃ মান্নান মোল্যা, দপ্তর সম্পাদক হরিশ চন্দ্র মালো, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোস্তাক আহমেদ, তালমা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ তৈয়বুর রহমান, নগরকান্দা উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাসিমা আক্তার, যুব মহিলা লীগের সভাপতি রিক্তা আক্তার, উপজেরা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান।
মামলার বাদি এ্যাডভোকেট জামাল হোসেন জানান, সামাজিক ও রাজনৈতিক ভাবে তাকে হেয় করতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে প্রধানমন্ত্রীর ছবির সাথে তার ছবি এডিট করে বসানো হয়েছে। এ ঘটনায় তিনিসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ক্ষুব্দ হয়েছেন। তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে একটি প্রভাবশালী মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে, এরই ধারাবহিকতায় তারা এমন জঘন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি এই ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবী করেন।
নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিরাজ হোসেন জানান, অভিযুক্ত আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
