প্রতি কেজির আলুর যৌক্তিক মূল্য ২৩ টাকা, কারসাজিতে বেড়ে ৬৫

প্রতি কেজির আলুর যৌক্তিক মূল্য ২৩ টাকা, কারসাজিতে বেড়ে ৬৫

দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
লাগামহীন দ্রব্যমূল্যকে যৌক্তি পর্যায়ে রাখতে সরকারের চেষ্টার কোন কমতি নেই। কিন্তৃু বাজার কারসাজিতে সেটা সফল হচ্ছে না। চরিত্রহীন মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের কারনে সকল উদ্যোগ ভেস্তে যাচ্ছে প্রতিমুহুর্তে। এই মুহুর্তে দেশে আলুর বাজার নিয়ে ঘটছে সেটা একেবারেই অযৌক্তিক। অসৎ ব্যবসায়ীদের কারনে এরকমটি হচ্ছে। কেননা, সরকারের কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের তথ্য মতে, প্রতি কেজি আলুর উৎপাদন খরচ ১৩ টাকা ৯০ পয়সা। উৎপাদক পর্যায়ে এক কেজি আলু বিক্রি হওয়ার কথা ১৯ টাকা ৪৮ পয়সা। আর পাইকারিতে এক কেজি আলু বিক্রি হওয়ার কথা ২৩ টাকা ৩০ পয়সা। সব ধরনের খরচ মিলে এক কেজি আলুর সর্বোচ্চ দাম হতে পারে ৪৬ টাকা। বাজারের দাম বাড়িয়ে কেজিপ্রতি তিনগুণ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে সিন্ডিকেট সদস্যরা।
পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার আমদানিকৃত বিভিন্ন পণ্যের শুল্ক প্রত্যাহার করেছে। ভোক্তা অধিদপ্তর, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন জেলাপর্যায়ে গঠিত টাস্কফোর্স কমিটি বাজার মনিটর করছে। এরপরেও কোনো সুফল মিলছে না ভোক্তাদের। দাম বেড়ে আলুর দাম এখন আকাশচুম্বী। বাজারে ৭০ টাকার নিচে আলু মিলছে না। এমনকি অর্ধেক দামে আমদানি করা আলুও কিনতে হচ্ছে দ্বিগুণ দামে।
গত বছর এ সময়ে আলুর দাম ছিল ৪৫ থেকে ৫০ টাকা।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তর জানায়, ভোক্তা পর্যায়ে আলুর যৌক্তিক দাম ৪৬ টাকা। শুল্ক কমানোর আগে এ আলু বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। এক মাস আগেও আলু বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। আর গত বছরের এ সময় আলুর দাম ছিল ৪৮ থেকে ৫০ টাকা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় আলুর দাম বেড়েছে ৪০ দশমিক ৮২ শতাংশ।
গত ৫ সেপ্টেম্বর এক প্রজ্ঞাপনে এনবিআর আলু আমদানিতে বিদ্যমান ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে আলু আমদানিতে যে ৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক আছে, তা সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়ছে। আলু আমদানিতে এ শুল্ক সুবিধা বহাল থাকবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। এসব সুবিধা নিয়ে টনে টনে আমদানি করা আলু বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। অর্থাৎ আমদানিতে সুফলও পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। অসাধু ব্যবসায়ীরা কম দামে আমদানি করে বাজারে প্রচলিত দামে বিক্রি করছে।

Explore More Districts