চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ থানার হিলভিউ এলাকায় অস্ত্রের মহড়া দেওয়ার ঘটনায় দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ও কিশোরগ্যাংয়ের সদস্যসহ ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি খেলনা পিস্তল ও ১০টি ধারালো কিরিচ উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার (১৪ জানুয়ারি) রাতভর নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার বার্মা কলোনি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতার ১৭ জন হলেন সাব্বির হোসেন শাওন (২১), মো. ইমরান (২৭), মো. নজরুল (২৬), ইসমাইল উদ্দিন আকাশ (২৫), মো. হাসান (২৬), মো. সজিব (২৩), ইয়াসিন রায়হান হৃদয় বাবু (২৪), মো. রমজান (২২), শাকিল (২৪), হাবিব (৩৯), রাসেল (২২), ইমরান হোসেন (৩০), ইমন (২২), আরিফুল ইসলাম (৩০), মানিক (৩৫), সুমন (২৯) ও মনির হোসেন (২৪)।
পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) বিকেলে বার্মা কলোনির সামনে থেকে সাব্বির হোসেন শাওনের নেতৃত্বে মাদকবিরোধী মিছিল বের হয়। ২০-৩০ জন স্থানীয় তরুণ এতে অংশ নেয়। মিছিলটি আলীনগর এক নম্বর সড়ক দিয়ে এগিয়ে আমিন কলোনির সামনে পৌঁছে। কলোনিসংলগ্ন মোহাম্মদনগরের ৯ নম্বর সড়কে একটি জেয়াফত অনুষ্ঠানে এসেছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর মোবারক আলী। মিছিলে থাকা তরুণরা এ সময় প্রকাশ্যে কিরিচ ও অস্ত্র বের করে স্লোগান দিতে থাকেন। তখন কাউন্সিলরের সঙ্গে থাকা উনার অনুসারীরা তাদের ধাওয়া দেন। ধাওয়া খেয়ে পালানোর সময় শাকিল অস্ত্র বের করে ফাঁকা গুলিবর্ষণের মতো মহড়া দেন। পরে আমরা জানতে পারি, সেটি খেলনা পিস্তল ছিল এবং সেটি উঁচিয়ে ধরলেও তারা চকলেট আতশবাজি ফুটিয়ে ত্রাস ছড়ায়। এ ছাড়া পালানোর সময় তারা অন্তত সাতটি দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করে। আবদুল্লাহ আল মাহমুদ নামে একজনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। আহত আবদুল্লাহ আল মাহমুদের ভাই আবদুল আল মনির ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে বায়েজিদ বোস্তামি থানায় শুক্রবার রাতে মামলা করেন।
বায়েজিদ বোস্তামি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় কুমার সিনহা জানান, এ ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখে সাতজনকে শনাক্ত করে প্রথমে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাদের জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরও ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতার ১৭ জন ছাত্রদল ক্যাডার বার্মা সাইফুলের অনুসারী সন্ত্রাসী।
২০২১ সালের ১৬ জুন গভীর রাতে নগরীর বায়েজিদ-ভাটিয়ারি লিংক রোডে পুলিশের চেকপোস্টে গুলি বিনিময়ের পর সাইফুল ইসলাম ওরফে বার্মা সাইফুলকে (৩২) গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গ্রেফতার করে বায়েজিদ থানা পুলিশ। পরে তিনি জামিনে বেরিয়ে যান। অন্তত দেড় ডজন মামলার আসামি সাইফুলকে নির্বাচনের আগে আবার গ্রেফতার করা হয়।