চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকেঃ
গত কয়েকদিন আগে বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে “মহারাজপুর ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে, বাল্যবিয়ে ঠেকাতে গিয়ে মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের দুই গ্রাম পুলিশ চাঁদাবাজি করেছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিক্তিহীন ও উদ্দ্যেশ্য প্রনোদিত।
প্রকৃতপক্ষে, গত ১৫ মে আমাদের কাছে খবর আসে, গভীর রাতে রাজমিস্ত্রী মুকুল আলীর কন্যা মোসা. শামিমা খাতুনের (১৭) বাল্য বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে। খবর পেয়ে আমরা দুইজন ঘটনাস্থলে যায়। এমনকি বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে অনুরোধ জানাই মুকুল আলীকে। তাকে সাবধান করে আসি পরবর্তীতে বাল্যবিয়ে দিলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমরা দুইজন গ্রামপুলিশ দীর্ঘ সময় ধরে সুনামের সাথে মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদে দায়িত্ব পালন করছি। আজ পর্যন্ত আমাদের বিরুদ্ধে অনিয়মের কোনো অভিযোগ আসেনি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিট পুলিশিং এর পুলিশ কর্মকর্তার নির্দেশনা মোতাবেক আমরা এলাকায় বাল্যবিয়ে রোধে কঠোর অবস্থানে থেকে কাজ করছি।
আমরা দুই গ্রাম পুলিশ ও ইউনিয়ন পরিষদের সুনাম ক্ষুন্ন করতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে নামে সংবাদটি প্রকাশ করতে সাংবাদিক ভাইদের ভুল তথ্য প্রদান করা হয়েছে। সামাজিকভাবে হেয় করতে ও আমাদের সম্মানহানির উদ্দেশ্যেই সংবাদটি প্রকাশ করা হয়েছে। আমরা সংবাদটির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।
আব্দুল মালেক ও আরিফ আলী গ্রাম পুলিশ, মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদ, সদর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ।