কিয়েভ, ১০ সেপ্টেম্বর – পূর্ব ইউক্রেনের দোনেৎস্ক অঞ্চলে পেনশনের লাইনে দাঁড়ানো বেসামরিক মানুষকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। রুশ এই হামলায় অন্তত ২৪ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১৯ জন।
নিহতদের বেশিরভাগই প্রবীণ বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। মূলত হামলা হওয়া এই অঞ্চলটি যুদ্ধের ফ্রন্টলাইনের কাছেই অবস্থিত। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, নিহতরা সবাই সাধারণ মানুষ এবং তারা দোনেৎস্ক অঞ্চলের ইয়ারোভা গ্রামে পেনশন নিতে জড়ো হয়েছিলেন। আঞ্চলিক প্রশাসক ভাদিম ফিলাশকিন বলেন, ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজ চলছে এবং বাসিন্দাদের নিরাপদ অঞ্চলে সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
স্লোভিয়ানস্ক শহরের উত্তরে ফ্রন্টলাইনের মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে ইয়ারোভা গ্রামটি অবস্থিত। রুশ বাহিনী পূর্বাঞ্চলে ধীরে ধীরে অগ্রসর হওয়ায় এ অঞ্চল বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ।
বিবিসি বলছে, মৃতের সংখ্যা নিশ্চিত হলে এটি সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইউক্রেনীয় বেসামরিকদের ওপর অন্যতম ভয়াবহ হামলা হবে। রাশিয়ার পূর্ণাঙ্গ আগ্রাসন শুরু হওয়ার ৪২ মাস পরও এ ধরনের হামলা অব্যাহত রয়েছে।
এর আগে গত আগস্টের শেষ দিকে কিয়েভে রাতের আঁধারে চালানো বিমান হামলায় ২৩ জন নিহত হয়েছিলেন। গত সপ্তাহান্তে রাশিয়া ইউক্রেনীয় রাজধানী কিয়েভে যুদ্ধ শুরুর পর আকাশপথে সবচেয়ে বড় হামলা চালায়। এতে সেখানে প্রধান সরকারি ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জেলেনস্কির ভাষায়, এটি ছিল যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করার লক্ষ্যে “নিষ্ঠুর আক্রমণ”।
এদিকে ইয়ারোভায় হামলার ভয়াবহ ফুটেজ অনলাইনে প্রকাশ করে জেলেনস্কি বলেছেন, “এই হামলার বর্ণনা দেওয়ার মতো কোনো শব্দ নেই”। রুশ সেনাদের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য আসেনি।
কাছের শহর লিমান-এর স্থানীয় প্রশাসক ওলেক্সান্দ্র ঝুরাভলিওভ জানিয়েছেন, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে পেনশন বিতরণের সময় এ হামলা হয়। নিহতদের বেশিরভাগই প্রবীণ নাগরিক।
এদিকে ইউক্রেনের জরুরি সেবা সংস্থা ডিএসএনএস জানিয়েছে, ইয়ারোভায় হামলার আগে দোনেৎস্ক অঞ্চলের আরও কয়েকটি এলাকায় গোলাবর্ষণে তিনজন নিহত হয়েছেন। জেলেনস্কি বলেন, “বিশ্ব নীরব থাকতে পারে না”। তিনি যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও জি-২০ ভুক্ত দেশগুলোর কাছে প্রতিক্রিয়া জানানোর আহ্বান জানান।
সূত্র: ঢাকা পোস্ট
এনএন/ ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫