পেঁয়াজের দামে ঝাঁজ

পেঁয়াজের দামে ঝাঁজ

স্টাফ রিপোর্টার
বাংলাদেশি আমদানিকারকরা অনেকটা বেশি দামেই ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি করছেন। এছাড়াও সম্প্রতি বৃষ্টির কারণে ফরিদপুরে পেঁয়াজ চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আড়ৎদাররা বলছেন, দুই কারণেই বাজারে পেঁয়াজের মৌসুমেও দাম বেড়েই চলেছে।
জানা যায়, কয়েকদিন আগেও বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩৫-৪০ টাকা কেজিতে। মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রকারভেদে এখন ৫৪, ৫৫ ও ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ।
বুধবার দুপুরে শহরের আলফাত স্কয়ার সংলগ্ন খান ব্রাদার্স, জেল রোড এলাকায় রিপন ট্রেডার্স, নতুন বাজারে আলী আকবরের দোকান সহ বেশ কয়েকটি পাইকারি দোকানে গিয়ে জানা যায়, প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৫৪-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ভাতেরটেক গ্রামের বাসিন্দা আজিজুল হক বুধবার দুপুরে মেয়ের বিবাহের বাজার করতে আসেন শহরে। শহরের নতুন বাজারে আলী আকবরের দোকান থেকে বাজার করে ফিরছিলেন তিনি। তিনি বলেন, অনেক দোকানে যাচাই করেছি। সব দোকানেই নিত্যপণ্যের দাম বেশি। মেয়ের বিবাহ এই সপ্তাহে। আলী আকবরের দোকানে এসে ৫৪ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ, ১৩৫ টাকা কেজি দরে রসুন, ২৫০-২৬০ টাকা কেজি দরে আদা, ১১২ টাকা কেজি দরে চিনি সহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনেছি। তিনি বলেন, দুই সপ্তাহ আগেও ৩০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনেছি। আজ বাজারে এসে দেখি ৫৫ টাকা কেজি।
সদরগর থেকে এসেছেন বৃদ্ধা আমিরুন নেছা। তার সাথে বড় ছেলের বউ ও নাতিরা রয়েছেন। আলু, পেঁয়াজ, রসুন ও সবজি কিনেছেন তিনি। জানতে চাইলে তিনি বলেন, আলুর দামটাও বেশি। কয়দিন আগে ২০ টাকা কেজি দরে কিনছিলাম। আজকে ৩৫ টাকা করে কিনা লাগছে। পেঁয়াজ কয়দিন আগে ৩ কেজি ১০০ টাকায় কিনছিলাম। আজ ১ কেজি ৫৫ টাকা নিছে। সবতার দাম বেশি।
আড়ৎদার পারভেজ মিয়া বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় পেঁয়াজ বাজারে আসছে না। দেশি পেঁয়াজ চাহিদা মেটাতে পারে না। এদিকে এবার দেশেও পেঁয়াজ কম ফলেছে। যে কারণে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
আড়ৎদার অমৃতলাল রায় বলেন, বেশি দামেই কিনতে হচ্ছে। আমরা কম লাভে বিক্রির চেষ্টা করছি।
জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আল আমিন বলেন, কিছুদিন ধরে এলসি বন্ধ রয়েছে। দেশি পেঁয়াজও চাহিদার তুলনায় অনেক কম। এজন্য দামটা কিছুটা বেড়েছে। তবে খুব শীঘ্রই পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে।

Explore More Districts