পূর্বাচল প্লট দুর্নীতি: শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

পূর্বাচল প্লট দুর্নীতি: শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

পূর্বাচল প্লট দুর্নীতি: শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে বিচারক জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। আদালত আসামিদের পলাতক দেখিয়ে গ্রেপ্তার সংক্রান্ত অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৯ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন।

দুই মামলার একটিতে ১২ জন এবং অপরটিতে ১৭ জন আসামি। এর মধ্যে ১১ জন দুটি মামলাতেই অভিযুক্ত। ফলে মোট ১৮ জনের বিরুদ্ধে দুই মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।

দুদকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকাকালীন শেখ হাসিনা নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নামে সরকারি নীতিমালা উপেক্ষা করে পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দ নিয়েছেন। যদিও তার ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ঢাকায় বাড়ি বা ফ্ল্যাট থাকার তথ্য গোপন করা হয়েছিল।

অভিযোগে বলা হয়, শেখ হাসিনা তার দপ্তর ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের প্রভাবিত করে বরাদ্দে প্রভাব বিস্তার করেন। এতে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এবং ফৌজদারি দণ্ডবিধির একাধিক ধারা লঙ্ঘিত হয়েছে।

তালিকাভুক্ত অন্যান্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ এবং প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সালাহউদ্দিন। মামলায় ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নম্বর রোডের অন্তত ছয়টি প্লট অনিয়মের মাধ্যমে বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

এই মামলাগুলো দাখিল করা হয় গত জানুয়ারি মাসে। দুদক অনুসন্ধান শেষে মোট আটটি অভিযোগপত্র দাখিল করেছে, যার মধ্যে ছয়টি সরাসরি শেখ হাসিনার নামে।

প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশত্যাগ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। বর্তমানে তিনি ভারতে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।

Explore More Districts