ওজিএসবির সাবেক সদ্য প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ফারহানা দেওয়ান পিসিওএসের কারণ বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, শরীরে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দেখা দিলে বা হরমোনের তারতম্য হলে পিসিওএস হতে পারে। সময়মতো মাসিক না হলে বা মাসিক হতে বিলম্ব হলে পিসিওএসের ঝুঁকি বাড়ে। তিনি বলেন, সন্তান হচ্ছে না বা বন্ধ্যত্বের সমস্যা আছে, এমন ৬ থেকে ১২ শতাংশ নারীর এ সমস্যা দেখা যায়।
কী দেখে বোঝা যাবে অর্থাৎ রোগের লক্ষণ কী, এমন প্রশ্নের উত্তরে ওজিএসবির সদস্যসচিব অধ্যাপক মুসাররাত সুলতানা বলেন, মাসিকের সমস্যা আছে বা তিন থেকে চার মাস পরপর মাসিক হচ্ছে, এমন হলে পিসিওএসকে সন্দেহ করতে হবে। আবার ওজন যদি অনেক বেড়ে যায়, সেটিও সন্দেহের কারণ। অনেকের হাত-পায়ে বা মুখে অবাঞ্ছিত লোম গজায়, এটি হরমোনজনিত ত্রুটির লক্ষণ। এটি পিসিওএসের উপসর্গ। কারও বন্ধ্যত্ব ধরা পড়লে তার পেছনের কারণ হতে পারে পিসিওএস।
অধ্যাপক ফিরোজা বেগম বলেন, পিসিওএসের তিনটি প্রধান লক্ষণ হলো হাত-পায়ে-মুখে লোম, অনিয়মিত মাসিক ও ওভারিতে সিস্ট। এর দুটি লক্ষণ থাকলেই পিসিওএস সন্দেহ করা যায়।
মুক্ত আলোচনায় স্বাগত বক্তব্যে প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক সুমনা শারমীন বলেন, পিসিওএস নিয়ে মানুষের ভুল ধারণা দূর করতে, মানুষকে সচেতন করতে চায় প্রথম আলো। তাই এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।