পায়রা বন্দর প্রকল্পে আর্থিক ক্ষতিসাধন, দুদকের নথিপত্র তলব

পায়রা বন্দর প্রকল্পে আর্থিক ক্ষতিসাধন, দুদকের নথিপত্র তলব

১১ April ২০২৫ Friday ২:৪০:২৬ PM

Print this E-mail this


পটুয়াখালী প্রতিনিধি:

পায়রা বন্দর প্রকল্পে আর্থিক ক্ষতিসাধন, দুদকের নথিপত্র তলব

পায়রা বন্দর নির্মাণ প্রকল্পে রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় ও ব্যয় বৃদ্ধি নিয়ে ওঠা অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট টিম।

বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) দুদকের ঢাকা কার্যালয় থেকে পাঠানো একটি বিশেষ টিম প্রকল্প সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে বেশকিছু অসঙ্গতির প্রাথমিক প্রমাণ পায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আক্তারুল ইসলাম।

দুদক সূত্র জানায়, প্রকল্পের শুরুতে ২০১৫ সালের ১ জুলাই ‘পায়রা বন্দর অবকাঠামো ও সাপোর্ট ফ্যাসিলিটি নির্মাণ’ প্রকল্পের মূল উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) অনুমোদিত হয় ১ হাজার ১২৮.৪৩ কোটি টাকায়। নির্ধারিত সময় অনুযায়ী ২০১৮ সালের ৩০ জুনের মধ্যে প্রকল্পটির কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা একাধিক দফায় সময় ও ব্যয় বাড়িয়ে নেওয়া হয়।

১ম সংশোধিত ডিপিপি অনুযায়ী (২০২০ সালে) ব্যয় বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৩ হাজার ৩৫০.৫১ কোটি টাকা এবং ২য় সংশোধিত ডিপিপি (২০২৩ সালে) অনুযায়ী তা আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ৩৭৪.৪৭ কোটি টাকায়। প্রকল্পের বর্তমান সমাপ্তির সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ২০২৪ সালের ৩০ জুন।

এছাড়া, পায়রা বন্দরের প্রথম টার্মিনাল প্রকল্প, যা ২০১৯ সালে শুরু হয়েছিল এবং ২০২১ সালের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল, তাও সময়সীমা অতিক্রম করে বর্তমানে ২০২৬ সাল পর্যন্ত গড়িয়েছে। এই প্রকল্পের ব্যয়ও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪২৭.৯৪ কোটি টাকায়।

এনফোর্সমেন্ট টিম তাদের তদন্তে আরও জানতে পারে, প্রকল্প এলাকাজুড়ে প্রায় ৭৫ কিলোমিটার দীর্ঘ রাবনাবাদ চ্যানেলের স্বাভাবিক গভীরতা না থাকায় সার্বক্ষণিক ড্রেজিংয়ের প্রয়োজন হচ্ছে। এটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল একটি কার্যক্রম। অথচ এখনো বন্দরটির মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়নি।

ফলে প্রকল্পটি সরকারের জন্য আয় নয়, বরং একটি ব্যয়ের খাতে পরিণত হয়েছে বলে দুদকের টিম মন্তব্য করেছে।
দুদক জানিয়েছে, প্রাপ্ত রেকর্ডপত্র যাচাই-বাছাই শেষে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র তলব করা হয়েছে। এসব নথি বিশ্লেষণের পর কমিশন একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন তৈরি করবে, যার ভিত্তিতে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে।

সম্পাদনা: আমাদের বরিশাল ডেস্ক



শেয়ার করতে ক্লিক করুন:

Explore More Districts