পাবনায় দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে লকডাউন। দ্বিতীয় দিনেও প্রথম দিনের মতো ঢিলেঢালা ভাবেই চলছে। তবে এদিন শহরের প্রধান সড়ক আব্দুল হামিদ রোডের প্রবেশ মূখে ব্যারিকেট বসানো হয়েছে। শহরের প্রধান সড়কে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না রিকশা-অটোবাইককে।
মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে সরেজমিন পরিদর্শন করে এচিত্র পাওয়া গেছে। বাধা দেয়ায় শহরের প্রবেশ মুখে আগের মতোই রিকশা-মোটরসাইকেল-অটোবাইকের যানজট লক্ষ্য করা গেছে।
রিকশা-অটোবাইকের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও মানুষের প্রবেশে বাধা নেই। ফলে শহরের মধ্যে মানুষের প্রচণ্ড ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। এছাড়াও নিত্যপণ্যের দোকানছাড়া অধিকাংশ দোকান বন্ধ রয়েছে। কিছু কিছু দোকানের সামান্য কিছু অংশ খোলা রেখে মালিক-শ্রমিকরা বাহিরে অবস্থান করছেন।
এর আগে প্রথমদিন সোমবার (৫ এপ্রিল) সারা দেশের ন্যায় পাবনাতেও তেমন কোন প্রভাব পরেনি। স্বাভাবিক ভাবে চলাচল করছে ছোট বড় গণপরিবহনসহ সাধারন মানুষ। দোকান পাটসহ জেলা শহরের বড় বড় শোপিং মল গুলো বন্ধ থাকলেও ছোট ছোট দোকান এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আংশিক খোলা রেখেছেন অনেক ব্যবসায়ীরা। শহর জুড়ে আগের মতই যানজট দেখা গেছে। হাট বাজার গুলোতে সাধারন মানুষের ভিড় ছিল উপচেপড়া।
এদিকে সোমবার দুপুরের দিকে পাবনা জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন যৌথভাবে লকডাউন বাস্তবায়নে মাঠে নামেন। শহরে গুরুত্বপূর্ন স্থানে সাধারন মানুষসহ ব্যবসায়ীদের সরকারের দেয়া লকডাউন ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার জন্য অনুরোধ ও সতর্কতা করেন।
পাবনার জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ বলেন, প্রথম দিনের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি, সবাইকে অনুরোধ ও সতর্ক করছি। বর্তমান সরকারের সময় কেউ না খেয়ে থাকাবে না। বসবার জন্য খাদ্য সামগ্রীর ব্যবস্থা করা হবে। আগামীকাল থেকে আইন প্রয়োগ করা হবে।
পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান বলেন, আইন অমান্য করে অনেকেই গণপরিবহন চালু করেছে। অনেকেই গোপনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে রেখেছেন। আমরা সকল সেক্টরের প্রতিনিধিদের সাথে কখা বলবো। আগামীকাল (আজ) থেকে আইন প্রয়োগ করা হবে।