পাবনায় প্রাইভেট শিক্ষকের অভিযোগে মায়ের গালমন্দ, জীবনই শেষ করল স্কুলছাত্রী!

পাবনায় প্রাইভেট শিক্ষকের অভিযোগে মায়ের গালমন্দ, জীবনই শেষ করল স্কুলছাত্রী!

প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়া না পাড়ায় মা গালমন্দ করায় অভিমান করে বৃষ্টি হক (১১) নামের এক স্কুলছাত্রী গলায় ফাঁ*সি নিয়ে আত্মহ*ত্যা করেছে।

বৃৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) দুপুরে পৌরসভাধীন গোবিন্দা এলাকার নিজ বাড়ির ঘরের আড়ার সঙ্গে ফাঁস নেওয়ার ঘটনা ঘটে।

মৃত স্কুলছাত্রী পাবনা পৌর এলাকার ১ নং ওয়ার্ডের গোবিন্দা দেওয়ানবাড়ি এলাকার বাসিন্দা নির্মাণ শ্রমিক (রাজমিস্ত্রি) আয়নুল হকের মেয়ে ও পিটিআই সংলগ্ন পরিক্ষণ বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী।

বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন পিটিআই সংলগ্ন পরিক্ষণ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সাইদুল ইসলাম। তিনি জানান, প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়া না পাড়ায় বৃষ্টির মা আজ সকালে তাকে গালমন্দ করে খেতে না দিয়ে ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন করতে পৌরসভায় যান। এই ফাঁকে অভিমানে বৃষ্টি গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলে আত্বহত্যা করে। দুপুর ১ টার দিকে মা বাড়ি ফিরে ডাকাডাকি করে বৃষ্টির কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে মেয়েকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে। প্রতিবেশিদের সহযোগিতায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

বৃষ্টির মা পাপিয়া খাতুন বলেন, আমরা দরিদ্র পরিবার হলেও মেয়ে যাতে ভাল করে পড়াশুনা করতে পারে সেইজন্য একটি প্রাইভেট কোচিং সেন্টারে ভর্তি করে দেওয়া হয়। কিন্তু প্রাইভেটের স্যাররা পড়া না পাড়ার বিষয়টি বারবার আমাকে অবগত করেন। সেইজন্য সকালে আমি তাকে গালমন্দ করে খাবার না দিয়ে জন্ম নিবন্ধন করার জন্য পৌরসভায় যাই।

বাড়িতে এসে দেখি দড়জা আটকানো। পরে সবাইকে ডাকাডাকি করে দড়জা ভেঙে ভিতরে গিয়ে দেখি মেয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলছে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পরিবারে শোকের ছাঁয়া নেমে এসেছে।

পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। কোন অভিযোগ না থাকলে স্বজনদের নিকট লাশ হস্তান্তর করা হবে। এ বিষয়ে থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হবে।

Explore More Districts