বালক ততচলির কথায়, ‘রাজা হওয়ার সবচেয়ে ভালো দিক হলো, তোমাকে কোনো কাজ করতে হবে না। শুধু মাথায় একটা মুকুট পরলেই হলো; ব্যস, তোমার রাজ্যের লোকজন তোমাকে অর্থকড়ি দেবে লাখ লাখ।’
গ্যাংয়ের স্বরূপ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে জোলকাউত ততচলিকে বলেছিল, ‘গ্যাং মানে তো মিথ্যা বলা নয়, গ্যাং মানে তো সংহতি, সুরক্ষা এবং সত্য গোপন না করা।’ কিন্তু প্রতিভাবান ততচলি একসময় তার পিতার প্রকৃত পরিচয় আবিষ্কার করে। ততচলির ভাষায়, ‘জোলকাউতের কাছে সত্য আর মিথ্যায় কিছু যায় আসে না।’
গোটা উপন্যাসে ততচলির টুপিপ্রীতি পাঠকদের দৃষ্টি কাড়বে। তার বয়ানে ‘আকাশে উড়বার সময় কবুতররা তাদের কাজটা সারে। টুপি পরা না থাকলে মাথাটা ময়লা হয়ে যায়।’ কিন্তু ততচলির এই সরল কথনে পাঠক বিভ্রান্ত হবেন না। এই টুপিপ্রেমের সঙ্গে রাজার মুকুটের একটা সাযুজ্য রয়েছে। কেমন সাযুজ্য? পুরোটা জানতে তরুণ মেহিকান কথাসাহিত্যিক হুয়ান পাবলো বিইয়ালোবোসের পাতালপুরীতে মচ্ছব উপন্যাসে ডুব দেওয়াই ভালো হবে।