শওকত আলী খোকন(৫০) ভাগ্যর চাকা ঘোরাতে আজ থেকে ৩৪ বছর আগে পারি জমান পাকিস্তানে সেই থেকে আজও রয়ে গেছেন সেখানেই। পারিবারিক সুত্রে জানাগেছে, ১৯৯০ সালে যশোর শহরের সিভিল কোর্ট এলাকা থেকে কয়েকজন বন্ধু একসাথে পাড়ি জমান পাকিস্থানে। ৯১ সালে অর্থাৎ এক বছর পরে বাড়িতে খবর পাঠান শওকত ভালো নেই।
পরিবারের সাথে শওকতের শেষ কথা হয় ৯১ সালে এর মাঝে শওকত হারিয়েছে বাবা জয়নুল আবেদিন, বড় ভাই আবু বক্কর ও বোন ফাতেমাকে। ভাগ্যর কি নির্মম পরিহাস বাবা ভাই বোন কারো মৃত্যু সংবাদে বাড়ি ফিরতে পারেনি শওকত আলী।
যশোর সদর উপজেলার উপশহর ইউনিয়নের বিরামপুর এলাকার মৃত জয়নাল আবেদিনের পুত্র শওকত আলী খোকন বর্তমানে রয়েছেন পাকিস্থানের কুইজদার এলাকায় এটি করাচি থেকে কুইটা শহরে যাওয়ার পথে।এদিকে জীবিত থেকেও ৩৪ বছর যাবত সন্তানের মুখ দেখতে না পারায় পাগলপ্রায় গর্ভধারারিনি মা সখিনা বেগম।
শওকত আলীর ছোট ভাই আ: হাকিম জানায়, তাদের নিকটআত্মীয়র মাধ্যমে পাকিস্থান হাইকমিশনারে শওকত আলীর জন্ম নিবন্ধনের একটি কপি পাঠানো হয়েছে।
শওকত আলীর ভাই হাকিমের স্ত্রী শিরিনা বেগম বলেন, তাদের পরিবারে জানাবোঝা লোক না থাকায় আরও হতাশা বাড়ছে। কোথায় যাবেন কার কাছে যাবেন তা বুঝে উঠতে পারছেননা এ পরিাবরটি। এ বিষয় সরকারের সংশ্লিষ্ঠ কতৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন শওকত আলীর পরিবার।