
ইসলামাবাদ, ২৪ ডিসেম্বর – পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমানে কারাবন্দি পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের সঙ্গে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কারো সাক্ষাৎ করার অনুমতি দেওয়া হবে না। আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ বন্ধ থাকায় তার পরিবার ও দল গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা ইমরানের শারীরিক অবস্থা এবং কারাগারের পরিবেশ নিয়ে আশঙ্কা করছে।
পাকিস্তানের সংসদবিষয়ক মন্ত্রী তারিক ফজল চৌধুরী গত সোমবার এ তথ্য জানান।
জিও নিউজের জনপ্রিয় টক শো ‘ক্যাপিটাল টক’-এ অংশ নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এই মন্তব্য করেন। তিনি আরো বলেন, ‘কারাগার কোনো রাজনৈতিক দলের সদর দপ্তর হতে পারে না। পিটিআই রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও সেগুলোর প্রধানদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিচ্ছে।’
পিএমএল-এন নেতা আরো দাবি করেন, অতীতে আদিয়ালা কারাগারে পিটিআই নেতারা নিয়মিতভাবে তাদের প্রতিষ্ঠাতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন এবং ওই সময় সরকারের কোনো আপত্তি ছিল না।
কিন্তু তার অভিযোগ অনুযায়ী, সেই সাক্ষাৎগুলো পরবর্তী সময়ে কারাগারের বাইরে রাজনৈতিক সংবাদ সম্মেলনে রূপ নেয় এবং এমন বয়ান তৈরি করা হয়, যা ভারতীয় গণমাধ্যমে গুরুত্ব পায়।
প্রতিক্রিয়ায় পিটিআই নেতা আলী জাফর বলেন, দেশের সংবিধান অনুযায়ী ‘নির্জন কারাবাস’ নির্যাতনের শামিল। মন্ত্রীর বক্তব্য মানবাধিকার এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী বলেন।
এ বিষয়ে জাতিসংঘের একজন বিশেষ প্রতিবেদকও সতর্ক করে বলেছেন, যে পরিবেশে ইমরান খানকে রাখা হয়েছে, তা অমানবিক বা অপমানজনক আচরণের পর্যায়ে পড়তে পারে।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে আদিয়ালা কারাগারের সামনে ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে না দেওয়ার প্রতিবাদে তার বোনসহ দলীয় নেতাকর্মীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করলে পুলিশ জলকামান ব্যবহার করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
সূত্র: কালের কণ্ঠ
এনএন/ ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫




