একই বইয়ে আরও বলা হয়েছে, ২৯ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দিকে অগ্রসরমাণ পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে মেজর খালেদ মোশাররফের অগ্রবর্তী দলের কোম্পানীগঞ্জে লড়াই হয়। পাকিস্তানি সেনা হতাহত হয়ে কুমিল্লা সেনানিবাসের দিকে চলে যায়। এই দিন জেলায় প্রথম বিমান হামলা করে পাকিস্তানি বাহিনী।
গতিধারা প্রকাশিত বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়দুল হোসেনের মুক্তিযুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বইয়ে আছে, মে মাসে পাকিস্তানি বাহিনী জেলার কসবার বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ঘাঁটি বানায়। ২৫ থেকে ২৭ মে সালদা নদী এলাকায় মুক্তিবাহিনীর আক্রমণে পাকিস্তানি বাহিনীর ২৪ জন নিহত হন। এ ছাড়া ২৩-২৮ জুন কসবার চন্দ্রপুর, লতুয়ামোড়ায়, মন্দভাগ, তুলাইশিমুল ও নয়নপুর; ১২ জুলাই মন্দভাগ বাজারে পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রচণ্ড লড়াই হয়। ১৩-৩১ জুলাই কসবার সালদা নদী, কাশিমপুর সেতু, মনোরা রেলসেতু, কল্যাণসাগর, নোয়াগাঁও ও গোসাইল এলাকায় তীব্র লড়াই, গোলাগুলি ও প্রতিরোধে ১৪৪ জন পাকিস্তানি সেনা নিহত হন।
একই বইয়ে জয়দুল হোসেন লিখেছেন, ‘দখলদার বাহিনী পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন উপজেলায় নির্মম ও বর্বরোচিত অত্যাচার, নির্যাতন ও গণহত্যা চালিয়েছে।’

