পলাশে স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে স্বামীর আত্মহত্যা

পলাশে স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে স্বামীর আত্মহত্যা

পলাশে স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে স্বামীর আত্মহত্যা

জীবীকার তাগিদে গত প্রায় ৬ বছর আগে সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট থানার গেলানী চা বাগান নামক গ্রাম ছেড়ে নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় এসেছিলেন ভদ্র চৌহানের ছেলে আকাশ চৌহান (২৪)। এখানে এসে প্রাণ ইন্ডাষ্ট্রিয়াল পার্কে চাকরির সুযোগ হয় তার। চাকরির সুবাধে একই কর্মস্থলে পরিচয় হয় পাশ্ববর্তী গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার ভাওয়াল শিবপুর গ্রামের লোকমান শেখের মেয়ে তানিয়া আক্তার (২০) নামে এক যুবতীর সঙ্গে।

পরে ধীরে ধীরে সেই পরিচয় রূপ নেয় ভালোবাসার সম্পর্কে। তারপর বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ করতে গত এক বছর আগে আদালতের মাধ্যমে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করেন আকাশ চৌহান। মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করার পর তার নাম দেওয়া হয় ইব্রাহিম মিয়া। প্রায় দশ মাস আগে ভালোবাসার মানুষ তানিয়াকে বিয়ে করেন ইব্রাহিম মিয়া। বিয়ের পর পলাশ চরপাড়া গ্রামে রাসেল মিয়ার বাড়িতে ভাড়া বাসায় তাদের দাম্পত্য জীবন সুখেরই চলছিল। কিন্তু কে জানতো সামান্য একটু পারিবারিক কলহের জেরে আত্মহত্যা করবে ইব্রাহিম?। তার এভাবে চলে যাওয়াটা যেনো কিছুতেই মানতে পারছেন না স্ত্রী তানিয়া।

থানা পুলিশ ও স্ত্রী তানিয়া আক্তারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত দুদিন ধরে তাদের মধ্যে পারিববারিক কলহ চলছিল। সবশেষ বুধবার রাতে ইব্রাহিম বেতন পেয়ে বাড়িতে টাকা কম দেওয়ায় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। তারপর রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষে স্বামী-স্ত্রী দুজনই এক সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিলেন। কিন্তু ভোর রাত ৪ টার দিকে স্ত্রী তানিয়ার ঘুম ভাঙলে দেখতে পায় ইব্রাহিম ঘরের ধরনার সঙ্গে গলায় দড়ি লাগানো অবস্থায় ঝুলন্ত। এসময় তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে ইব্রাহিম মিয়াকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. নাসির উদ্দীন জানান, খবর পেয়ে থানা পুলিশ ইব্রাহিম মিয়ার লাশ ময়না তদন্তের জন্য নরসিংদীর সদর হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যা।

Explore More Districts