হোটেলমালিকেরা জানান, ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ৫ দিনে ৭ লাখ পর্যটকের সমাগম ঘটবে বলে আশা করছেন তাঁরা। ইতিমধ্যে পাঁচ শতাধিক হোটেল, রিসোর্ট, গেস্টহাউসের ৯০ শতাংশ কক্ষ আগাম বুকিং হয়ে গেছে। পর্যটক টানতে রোজার মাসে হোটেলকক্ষ ভাড়ার বিপরীতে সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ ছাড়ের যে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এখন শতভাগ ভাড়া দিয়ে হোটেলে থাকতে হচ্ছে।
কেবল কক্সবাজার নয়, তিন পাহাড়ি জেলা সদর ও অন্য পর্যটনকেন্দ্রগুলোতেও পর্যটকদের ভিড় ছিল লক্ষণীয়। রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের হোটেল-মোটেলগুলোয় ৬০ শতাংশ বুকিং রয়েছে। আগামী ৩ তারিখ থেকে শতভাগ বুকিং রয়েছে।’ সিলেটে ১৫ থেকে ২০ লাখ পর্যটক আশা করছেন পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। হোটেল-মোটেলের প্রায় সব কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে। সিলেট অঞ্চলের উল্লেখযোগ্য পর্যটনকেন্দ্র হলো জাফলং, সাদাপাথর, লালাখাল, শ্রীপুর, রাতারগুল, পান্তুমাই, মায়াবতী ঝরনা, জৈন্তিয়া রাজবাড়ি, ডিবির হাওর, বিছনাকান্দি, লোভাছড়া, মাধবকুণ্ড, চেরাপুঞ্জি প্রভৃতি। পর্যটকদের একটা বড় অংশ এ সময় সুন্দরবনেও বেড়াতে যায়।
অন্যান্য বছর পর্যটকদের একটা বড় অংশ প্রতিবেশী ভারত, নেপাল ও ভুটান যেত। কিন্তু ভারত সরকার ভিসার ওপর কড়াকড়ি আরোপ করায় তাঁদের বড় অংশ দেশের প্রিয় পর্যটনকেন্দ্রগুলোই বেছে নিয়েছে। নেপাল ও ভুটানেও সীমিতসংখ্যক পর্যটক যাচ্ছেন। কিন্তু বেশির ভাগ স্বদেশমুখী হয়েছেন। এটা দেশের অর্থনীতি ও পর্যটনশিল্পের বিকাশ ত্বরান্বিত করবে বলে আশা করা যায়।