বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ ফারুকুজ্জামান। বয়স ৭৪। বাড়ি বাসাইল উপজেলার ফুলকি মধ্যপাড়া। এক সময় তিনি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরে ব্যবসা করতেন। ব্যবসার প্রয়োজনে তিনি দেশের বাইরেও ঘুরে বেড়িয়েছেন।
ঢাকার ধানমন্ডিসহ বিভিন্ন শহরে তার নিজস্ব বাসা বাড়ি রয়েছে। এক ছেলে নাম শেখ দুর্জয় জামান। এক মেয়েও আছে। তারা দুজনেই এখন প্রতিষ্ঠিত। বাবার টাকায় কেনা বাসায় ছেলে মেয়ে আরাম আয়েশ বহাল তবিয়তে বসবাস করছেন। বাবা (শেখ ফারুকুজ্জামান) এখন বৃদ্ধ হয়ে গেছেন। বাবার ব্যবসার হালও ধরেছেন ছেলে। শেখ ফারুকুজ্জামান এর বয়স যখন ৬০। তখন তার স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়। বৃদ্ধ বয়সে ফারুকুজ্জামান নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েন। স্ত্রীর মৃত্যুর পর ফারুকু্জ্জামান বিয়ে করতে চাওয়াটাই কাল হয়ে দাড়ায়। এর পর থেকে ছেলেমেয়েরা বাবাকে অপছন্দ করা শুরু করেন। একপর্যায়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা বৃদ্ধ শেখ ফারুকুজ্জামান ঢাকা শহরের বাসাবাড়ি সহায় সম্পদ রেখে মাস দুয়েক আগে সখীপুর চলে আসেন। পৌরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের ময়থাপাড়া এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় উঠেন তিনি। হার্টে চারটি রিং পরানো ৭৪ বছর বয়সী বীর মুক্তিযোদ্ধা একাই থাকতেন ওই বাসায়। তাঁর ছোট বোন একজন চিকিৎসক। একমাত্র ওই চিকিৎসক বোনের সঙ্গেই তিনি প্রতিদিন ফোনে কথা বলতেন। গত দুইদিন ধরে ওই বোন ভাইকে ফোনে না পেয়ে তার ছেলেমেয়েকে বিষয়টি জানান। আজ ১৪ জুলাই সোমবার তার ছেলে শেখ দুর্জয় জামান বাবার খোঁজে সখীপুরে আসেন। বাবার ভাড়া বাসার দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে রান্নার কক্ষে বাবার অর্ধগলিত লাশ পড়ে থাকতে দেখে এম্বুলেন্স খবর দেন।
নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন
–
“নিউজ টাঙ্গাইল”র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।