ইসলামি মনোবিজ্ঞানের দৃষ্টিতে মানুষের অন্তরের কয়েকটি স্তর রয়েছে। একজন মানুষ যখন কোনো পরামর্শ সভায় যোগ দেন, তখন তিনি তাঁর এই বিভিন্ন স্তরগুলো নিয়েই উপস্থিত হন:
কলব (অন্তর): কলব সুস্থ থাকলে তা সভার আধ্যাত্মিক দিকটি উপলব্ধি করতে পারে। কিন্তু কলব যদি হিংসা বা অহংকারে আক্রান্ত হয়, তবে তা অফিসে নেতিবাচক রাজনীতি বা আচরণের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
আকল (বুদ্ধি): আকল যদি আধ্যাত্মিকভাবে সুস্থ থাকে, তবে একজন ব্যক্তি কেবল দুনিয়াবি লাভ-ক্ষতি না ভেবে পরকালীন কল্যাণ ও দীর্ঘমেয়াদি ইতিবাচক প্রভাব বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন।
নফস (প্রবৃত্তি): সভার সবচেয়ে ‘সক্রিয়’ অংশ হলো নফস। এটি লাগামহীন থাকলে মানুষকে একগুঁয়ে ও অহংকারী করে তোলে।
রুহ (আত্মা): এটি নফসের বিপরীত। আত্মার এ বিশুদ্ধ অংশটি আমাদের উচ্চতর উদ্দেশ্য ও ঐশী বাস্তবতার সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে চায়।
দেহ: শরীর হলো আত্মার বাহন। পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও পুষ্টির মাধ্যমে আমরা যদি দেহের যত্ন নিই, তবে পরামর্শ সভায় আমরা অনেক সতেজভাবে উপস্থিত হতে পারি।


