মাহফুজুর রহমান সোহাগ, নালিতাবাড়ীঃ
অবৈধ পরক্রিয়ার জের ধরে বিবাহিত প্রেমিক আরেক জনের স্ত্রীকে নিয়ে ১৩ বছরের স্বামীর সংসার ভেঙ্গে দিয়ে ২ মেয়ে সন্তান নিয়ে সজীব সিংহ (৩৮) কৃষ্ণ চন্দ্র রায়ের স্ত্রী পাবর্তী রায় (৩৫) কে সাথে নিয়ে ২মাস ধরে উধাও হওয়ার পর অবশেষে ২১ সেপ্টেম্বর সকালে কৃষ্ণের স্ত্রী পার্বতীকে উদ্ধার করেছে জামালপুর পিবিআই (পুলিশ বুরে্যা অব ইনভেসটিগেশন)। জবানবন্দী রের্কডের জন্য আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছে পিবিআই।পিবিআই সূত্রে, শেরপুর কোর্টে ১৩ সেপ্টেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল আদালতে একটি পিটিশন মামলা দায়ের করে কৃষ্ণ চন্দ্র রায়। মামলাটি আদালত ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে পিবিআই জামালপুর কে অত্র ট্রাইবুন্যালে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য নির্দেশ দেন।
পরবর্তীতে নালিতাবাড়ীর ভোগাইপাড় গ্রামে পিবিআই এক অভিযান পরিচালনা করে ২১ সেপ্টেম্বর সকালে কৃষ্ণের স্ত্রী পার্বতীকে উদ্ধার করে। পরে জবানবন্দী রের্কডের জন্য আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছে পিবিআই। পিবিআই প্রতিবেদনে বলা হয়, কৃষ্ণ ও পার্বতীর বিয়ে হয় ১৩ বছর পূর্বে। দাম্পত্য জীবনে তাদের দুটি কন্যা সন্তান হয়। আসামী সজীব সিংহ মাঝে মাঝেই কৃষ্ণের বাড়ীতে যাতায়াত করতো এবং কৃষ্ণের অনুপস্থিতিতে বাড়ীতে এসে পাবর্তীর সাথে কথাবার্তা বলতো। আসামী সজীব সিংহ বিবাহিত তার দুই কন্যা সন্তান থাকা সত্বেও কৃষ্ণের স্ত্রী পার্বতীতে ফুসলিয়ে প্রলোভন দিয়ে আরো আসামীর সহযোগিতায় কৃষ্ণের স্ত্রীকে অপহরন করে সজীব সিংহের পিতার বাড়ীতে নালিতাবাড়ীর ভোগাইপাড় গ্রামে আটক করতঃ তাহার ইচ্ছার বিরোদ্ধে জোড় পূর্বক ধর্ষন করেছে মর্মে কৃষ্ণ পিটিশনে উল্লেখ করেছেন।
এবস্থায় মামলার সুষ্ঠ তদন্তের স্বার্থে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে জবানবন্দি রেকর্ড করা প্রয়োজন বলে আদালতে পিবিআই প্রতিবেদন দিয়েছেন। এব্যাপারে পিবিআই জামালপুর জেলার (এসআই) জহুরুল ইসলাম বলেন, ২১ সেপ্টেম্বর সকালে কৃষ্ণের স্ত্রী পার্বতীকে উদ্ধার পূর্বক জবানবন্দী রের্কডের জন্য আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছি। পরবর্তীতে বিজ্ঞ আদালতের সিদ্ধান্ত মোতাবেক কার্যক্রম গ্রহন করা হবে। এদিকে কৃষ্ণ যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে। এ প্রসঙ্গে কৃষ্ণ চন্দ্র রায় বলেন, আমি আজ স্ত্রী সন্তান হারিয়ে পাগল হয়ে যাচ্ছি। বাচ্চা দুটিকে দেখতে না পেয়ে আমার অন্তর আতœা জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে। কোথায় যাই কি করি। এখন আমার কাছে রাত আর দিন সমান হয়ে গেছে। দিন শেষে বাচ্চা দুটিকে নিয়ে বুকে জড়িয়ে গুমিয়ে থাকতাম। এখন প্রতিটি রাতই আমি নির্ঘুম কাটাচ্ছি। পৃথিবীর এ যন্ত্রনা আমি আর সহ্য করতে পারছি না। আমি উপর আলা আর আপনাদের কাছে সাহায্য চাই।