পদ্মায় নাব্য সংকটে সাময়িকভাবে বন্ধ দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ফেরিঘাট

পদ্মায় নাব্য সংকটে সাময়িকভাবে বন্ধ দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ফেরিঘাট

দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম প্রধান নৌপথ দৌলতদিয়া–পাটুরিয়া রুটে পদ্মা নদীর পানি কমে যাওয়ায় তীব্র নাব্য সংকট দেখা দিয়েছে। শুকনো মৌসুমের শুরুতেই এ সংকট প্রকট হয়ে ওঠায় রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ায় অবস্থিত ৭ নম্বর ফেরিঘাট সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)।
বিআইডব্লিউটিসি সূত্র জানায়, গতকাল সকাল ৯টা থেকে দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ফেরিঘাট দিয়ে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। পদ্মা নদীর তলদেশে অতিরিক্ত পলি জমে যাওয়ায় নৌপথে গভীরতা কমে গেছে, ফলে ফেরি চলাচলে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় নাব্য সংকট নিরসনে ড্রেজিং কার্যক্রম শুরু করায় ঘাটটি সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।
ঘাটসংশ্লিষ্টরা জানান, নদীর চ্যানেলে পলি জমে ফেরির নেভিগেশন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছিল। যাত্রী ও যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ড্রেজিংকাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার স্বার্থেই কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ঘাটটি বন্ধ থাকায় দৌলতদিয়া–পাটুরিয়া নৌরুটে চলাচলকারী যাত্রী ও যানবাহনের চালকদের কিছুটা ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। তবে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নৌপথে যোগাযোগ সচল রাখতে বিকল্প ফেরিঘাট ব্যবহার করে পারাপার কার্যক্রম চালু রাখা হয়েছে, যাতে দীর্ঘ যানজট বা বড় ধরনের অচলাবস্থা তৈরি না হয়।
এ বিষয়ে দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ফেরিঘাটের পন্টুন ইনচার্জ (সারিং) হুমায়ন কবির বলেন,
“গতকাল সকাল ৯টা থেকে ৭ নম্বর ফেরিঘাট এলাকায় ড্রেজিং কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ কারণে ঘাটটি বন্ধ রাখা হয়েছে। ড্রেজিং শেষ না হওয়া পর্যন্ত কবে ঘাটটি আবার চালু হবে, তা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।”
দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন জানান,
“নাব্য সংকটের কারণে ড্রেজিং কার্যক্রম চলমান থাকায় সকাল ৯টা থেকে ৭ নম্বর ফেরিঘাট সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। ড্রেজিং শেষ হলে ঘাটটি পুনরায় চালু করা হবে। বর্তমানে দৌলতদিয়া–পাটুরিয়া নৌরুটে ছোট ও বড় মিলিয়ে মোট ১২টি ফেরি দিয়ে পারাপার কার্যক্রম চালু রয়েছে।”
পদ্মা নদীতে পানি আরও কমলে নাব্য সংকটের মাত্রা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। ফলে নৌপথ স্বাভাবিক রাখতে নিয়মিত ড্রেজিং কার্যক্রম জোরদার করার দাবি জানিয়েছেন ঘাট ব্যবহারকারী ও পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।

Explore More Districts