১৮ February ২০২৫ Tuesday ৬:৫৮:৪৩ PM | ![]() ![]() ![]() ![]() |
পটুয়াখালী প্রতিনিধি:

সদর উপজেলার কমলাপুর ইউনিয়নের উত্তর ধরান্দী লঞ্চঘাট এবং বাউফল উপজেলার আদাবাড়িয়া মোহসেনুদ্দীন ফাজিল মাদ্রাসা চত্বরে নির্মিত হয়েছে আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন দুটি দৃষ্টিনন্দন মসজিদ।
গতকাল জোহরের নামাজ ও আসরের নামাজ আদায় এবং বিশেষ দোয়া-মোনাজাতের মাধ্যমে পৃথকভাবে মসজিদ দুটি উদ্বোধন করেন আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্থানীয় মুসল্লি, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও ধর্মপ্রাণ জনগণ উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, সৌদি প্রবাসী কমলাপুর ইউনিয়নের চৌদ্দভুরিয়া এলাকার মো. আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদারের সন্তান মুহাম্মদ তাজউদ্দিন তানিম, মুহাম্মদ হাসান মাহমুদ ও মুহাম্মদ ইমাম হাসানের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এসব মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। এর আগে ধরান্দী বাজার ও চৌদ্দবুরিয়ায় আরও দুটি মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সৌদি নাগরিকের অর্থায়নে এবং এছাড়াও স্থানীয়ভাবে মাওলানা হাসান রফিক ও মাওলানা হাসান সুরু এ প্রকল্প বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
মসজিদগুলোর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো—উন্নত সাউন্ড সিস্টেম, মানসম্মত বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, নিরাপদ পানি, আধুনিক টয়লেট ও ওযুখানা এবং নান্দনিক ডিজাইন। ফলে মুসল্লিরা স্বাচ্ছন্দ্যে নামাজ আদায় করতে পারছেন।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, প্রতিটি মসজিদের জন্য আলাদা আলাদা ডিজাইন, তাই খরচ আলাদা। ৪৫, ৫০, ৬০ ৭০/৮০ লাখ পর্যন্ত খরচ হয়। একেকটা টিউবওয়েলে ১ লক্ষ টাকার বেশি খরচ করা হয়েছে।
স্থানীয় মুসল্লিরা বলেন, “আমাদের এলাকায় এমন সুন্দর মসজিদ হবে ভাবিনি। নামাজ পড়তে এখন আর কোনো সমস্যা হয় না। আমরা খুবই খুশি।”
এছাড়াও জেলার বিভিন্ন এলাকা, হাসপাতাল ও হাটবাজারে মানুষের নিরাপদ পানির কষ্ট লাগবে ২৮০টি গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে। আয়োজকরা জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে আরও উন্নয়নমূলক কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার বলেন, “আলহামদুলিল্লাহ, মহান আল্লাহর রহমতে আমার সন্তানদের মাধ্যমে আজ দুটি সুন্দর মসজিদ উদ্বোধন করতে পেরেছি। এর আগেও দুইটি মসজিদ করা হয়েছে। ইসলামের খেদমতে কাজ করতে পেরে গর্বিত অনুভব করছি। ভবিষ্যতেও এ ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।”
সৌদি প্রবাসী মুহাম্মদ ইমাম হাসান বলেন, “আমার বড় ভাইয়ের সঙ্গে ভালো সম্পর্কের জেরে একজন সৌদি নাগরিক ও ইমাম, তার ব্যবস্থাপনায় আল্লাহর রাজিখুশির লক্ষ্যে সদকায়ে জারিয়া হিসেবে বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের জন্য এই মসজিদগুলো নির্মাণ করে দিচ্ছেন। প্রতিটি মসজিদ তার নির্দেশিত ডিজাইন ও রঙ অনুযায়ী নির্মিত হয়। আমরা শুধু বাস্তবায়নের দায়িত্ব পালন করি। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে আমরা এই কাজ করছি।”
এ মহৎ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় জনগণ। তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে, ইসলামের সেবা ও মানবকল্যাণে এ ধরনের কার্যক্রম ভবিষ্যতে আরও সম্প্রসারিত হবে।
সম্পাদনা: আমাদের বরিশাল ডেস্ক
শেয়ার করতে ক্লিক করুন: | Tweet |