পটুয়াখালীতে ইপিজেডে কাজে স্থানীয়দের বাধা, জমির টাকার দাবিতে বিক্ষোভ

১৪ July ২০২৪ Sunday ৭:৪৮:৩১ PM

Print this E-mail this


পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ

পটুয়াখালীতে রফতানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকায় (ইপিজেড) কাজের শুরুতেই স্থানীয়রা বাধা দিয়েছেন। ইপিজেড কর্তৃপক্ষ শনিবার (১৩ জুলাই) কাজ শুরু করতে গেলে জমির মালিকরা টাকার দাবিতে বিক্ষোভ করেন।

জানা যায়, পটুয়াখালী সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের পঁচাকোড়ালিয়া গ্রামে ৪১০ দশমিক ৭৮ একর জমিতে এই ইপিজেড হচ্ছে। এছাড়া একই প্রকল্পের আওতায় কুয়াকাটায় ২ দশমিক ২৫ একর জমির ওপর স্থাপিত হচ্ছে ইনভেস্টরস ক্লাব।

প্রকল্পের আওতায় রাস্তা, ড্রেন নির্মাণের পাশাপাশি ৪টি ৬ তলা কারখানা ভবন, ৩টি ১০ তলা, ৪টি ৬ তলা আবাসিক ভবন, একটি ৬ তলা ও ২টি ৪ তলা অফিস ভবন এবং ২টি অন্যান্য ভবন নির্মাণ হবে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা)। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৪৪৩ কোটি টাকা। এতে বেপজার নিজস্ব তহবিল থেকে দেয়া হবে প্রায় ৩৩৮ কোটি টাকা, বাকি ১ হাজার ১০৫ কোটি টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে দেয়া হবে। ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। এখানে প্রায় ১ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে এবং এখানকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হবে বলেও আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা

ইপিজেড এলাকায় দেখা যায়, শতাধিক স্থানীয় লোক জমির ক্ষতিপূরণের টাকার দাবিতে বিক্ষোভ করছেন। বিক্ষোভের মুখে কাজ বন্ধ করে চলে যান ইপিজেডের প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম।

স্থানীয়রা বলেন, এই জমিতে আমাদের পূর্ব পুরুষদের স্মৃতি আছে। আমরাও এখানে বেড়ে উঠেছি। উন্নয়নের স্বার্থে আমরা সবকিছু দিতে রাজি আছি। কিন্তু জমির টাকা না পেলে আমরা কীভাবে চলব। তাই যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা টাকা না পাচ্ছি, আমরা কাজ করতে দেব না।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ‘১ হাজার ২০০ জন জমির টাকার জন্য জেলা প্রশাসকের অফিসে কাগজপত্র জমা দিয়েছেন। কিন্তু টাকা দেয়া হচ্ছে না। এখানকার লোকজন জমিতে কোনও ধরনের কাজ শুরুর আগেই টাকা দাবি করছেন। কর্তৃপক্ষেরও জমির মালিকদের টাকা পরিশোধ করা উচিত।’

ইপিজেডের প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বেপজা ৯ মাস আগেই জমির ক্ষতিপূরণ বাবদ ২৬২ কোটি টাকা জেলা প্রশাসকের অনুকূলে হস্তান্তর করেছে। কিন্তু এখনও কেন জমির মালিকদের টাকা দেয়া হচ্ছে না তা বলতে পারছি না। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলব।’

পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক নূর কুতুবুল আলম বলেন, ‘জনবল সংকটের কারণে জমির ক্ষতিপূরণের টাকা দিতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। তবে জনবল সংকট কেটে গেছে, খুব দ্রুত টাকা পরিশোধ করা হবে। আশা করি, সকাল থেকে কাজ শুরু করতে পারব। তাদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে।

২০২৩ সালের ২৯ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় এ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়।

সম্পাদনা: আমাদের বরিশাল ডেস্ক



শেয়ার করতে ক্লিক করুন:

Explore More Districts