পঞ্চগড় ইজিবাইক ছিনতাইয়ের উদ্যোশে হত্যা করা হয় চালককে
পঞ্চগড় প্রতিনিধি ।
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় ইজিবাইক চালক লতিফ হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। ইজিবাইকটি ছিনতাইয়ের উদ্যোশেই চালক লতিফুর রহমান লতিফকে হত্যা করা হয়। ঘটনার প্রধান আসামী সোহলের দেয়া তথ্য সূত্র ধরে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, বোদা উপজেলার সোহেল রানা (২০), মেহেদী হাসান মিলন (১৯), রবিউল ইসলাম (৪০), রবিউল আলম (২৮) এবং দেবীগঞ্জ উপজেলার মাজেদুল হক (৩০) ও রিংকু ইসলাম (৩৩)। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত অপর আসামী আকতারুজ্জামান (২২) পলাতক থাকায় তাকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম শফিকুল ইসলাম। বুধবার বিকেলে পঞ্চগড় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান তিনি।
তিনি জানান, বোদা উপজেলার মোকাররম ইসলাম ওরফে মিঠুনের ইজিবাইকটি ভাড়ায় চালিয়ে জীবিকা নিবার্হ করতো চালক লতিফ। গত ১৭ই ডিসেম্বর বিকেলে সোহেল, মেহেদী ও আকতারুজ্জামান নামে তিন বন্ধু ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে ৪০০ টাকায় লতিফের ইজিবাইকটি ভাড়া করে। পরে তারা বোদা উপজেলার বেংহারী ইউনিয়নের মিলগেট-মাড়েয়া সড়কের কল্লাকাট নামক এলাকায় নিয়ে যায় তারা। পরে ওই এলাকার একটি ফাঁকা জায়গায় ইজিবাইকটি থামিয়ে চালক লতিফ তার মুঠোফোনে কথা বলার সময় ছিনতাইয়ের উদ্যোশে ঘাতক তিন বন্ধু চালক লতিফকে পেছন থেকে তার মাফলার দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে ঘাতকেরা লতিফের লাশ সড়কের পাশের একটি বাদাম খেতে ফেলে তার মুঠোফোন ও ইজিবাইকটি নিয়ে পালিয়ে যায়।
তিনি আরো জানান, পরে ঘাতক তিন বন্ধু উপজেলার নয়াদিঘী এলাকার রবিউল ইসলাম নামে এক ব্যাক্তির কাছে ১৬ হাজার টাকায় ইজিবাইকটি বিক্রি করে তারা। পরে রবিউল ইসলাম ইজিবাইকটি নিশ্চিহ্ন করার জন্য উপজেলার বীরপাড়া এলাকার রবিউল আলম নামে একজনের কাছে দেন। পরে তিনি ইজিবাইকটির পার্টস আলাদা করে বিক্রির জন্য দেবীগঞ্জ উপজেলার বাজার পাড়া এলাকার মাজেদুল হক ও রিংকু ইসলামের নিকট দেন। পরে মাজেদুল ও রিংকু ইজিবাইকটি খন্ড আকারে বিক্রির চেষ্টা করছিল। গোপন অভিযানের ভিত্তিতে তাদের কাছ থেকে ইজিবাইকে বিভিন্ন ধরনের পার্টস, তিনটি চাকা ও ৫টি ব্যাটারী উদ্ধার করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বোদা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুল কুদ্দুস মুঠোফোনে জানান, ১৬৪ ধারায় আসাশীদের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। আসামীরা তাদের দোষ স্বীকার করায় রিমান্ড আবেদনের প্রয়োজন পরেনি। পরে আদালত তাদের জেলহাজতে পাঠিয়েছে।
উল্লেখ্য এ ঘটনায় ইজিবাইক চালক লতিফের মামা নুর ইসলাম গত ১৮ই ডিসেম্বর অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে বোদা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পরপরই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের ধরতে মাঠে নামে পুলিশ।