পঞ্চগড়ে বিজিবি-বিএসএফের যৌথ রিট্রিট সেরিমনি প্যারেড

পঞ্চগড়ে বিজিবি-বিএসএফের যৌথ রিট্রিট সেরিমনি প্যারেড

পঞ্চগড়ে বিজিবি-বিএসএফের যৌথ রিট্রিট সেরিমনি প্যারেড

পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্টে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) যৌথ উদ্দ্যোগে জমকালো যৌথ ‘রিট্রিট সেরিমনি’ প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫২তম বার্ষিকী উদযাপনকে স্মরণীয় করে রাখতে রবিবার (২৬ মার্চ) বিজিবি-বিএসএফ এই প্যারেড অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

বাংলাবান্ধা-ফুলবাড়ী সীমান্তের নোম্যান্স ল্যান্ডে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য মজাহারুল হক প্রধান এমপি উপস্থিত ছিলেন। ‘রিট্রিট সিরিমনি’ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বিজিরি অতিরিক্ত মহাপরিচালক ও উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের রিজিওন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেশ বেনজীর আহমেদ ও ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বিএসএফের নর্থ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের আইজি শ্রী অজয় শিং। এসময় ঠাকুরগাঁও সেক্টরের কমান্ডার কর্নেল জিয়া সাদাত খান, নবাগত সেক্টর কমান্ডার কর্নেল এমএইচ হাফিজুর রহমান, ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মাহফুজুল হক, বিএসএফের শিলিগুড়ি সেক্টরের ডিআইজি শ্রী নির্মান সিং আউজলা, ১৭৬ ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক এসএস সিরোহী, পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্যারেড কুচকাওয়াজ চলাকালে উভয় দেশের নাগরিকদের হাতে থাকা জাতীয় পতাকা নাড়িয়ে বিজিবি-বিএসএফের সদস্যদের উৎসাহিত করেন। জাতীয় পতাকা নামানোর সময় গ্যালারিতে বসে থাকা কর্মকর্তাসহ উভয় দেশের নাগরিকরা দাঁড়িয়ে সম্মান প্রদর্শন করেন।

পরে অতিথিবৃন্দ বিজিবি-বিএসএফের চমকপ্রদ ও মনোমুগ্ধকর প্যারেড কন্টিনজেন্ট কুজকাওয়াজ, ভালোবাসা ও উষ্ণ বন্ধুত্বের বন্ধনে আবদ্ধ দুই দেশ এবং বিজিবি ও বিএসএফের ঐতিহাসিক ‘জয়েন্ট রিট্রিট সেরিমনির পতাকা অবনমন দৃশ্য অবলোকন করেন। এসময় তারা একে অপরের মাঝে স্মারকচিহৃ, ফুল, মিষ্টি ও উপহার সামগ্রী বিনিময় করেন। এর আগে বিজিবি বিএসএফ প্রতিনিধিদলকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে স্বাগত জানান।

১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মাহফুজুল হক জানান, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলাদেশ-ভারতের জনগণের মধ্যে যে বন্ধুপ্রতীম ভ্রাতৃত্ববোধ জাগ্রত হয়েছিলো সেই ভ্রাতৃত্ববোধ সম্প্রসারণের পাশাপাশি উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্য বাড়ানোর অংশ হিসেবে এই ‘রিট্রিট সিরিমনি’ অনুষ্ঠিত হয়।

ডি- এইচএ

Explore More Districts