হঠাৎ করে অতিরিক্ত তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় গরমের সঙ্গে নড়াইলে বেড়েছে ডায়রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা। আক্রান্তের শতকরা ৮০ ভাগ শিশু বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এদিকে, নড়াইল সদর হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীর জন্য নির্দিষ্ট মাত্র ৬টি শয্যার বিপরীতে রোগী ভর্তি রয়েছে ২৫ জন। ফলে জায়গা সংকটে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।
নড়াইল সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত এক মাসে গরমে ডায়রিয়ার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১১৭ জন রোগী। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২৫ জন রোগী। এদের মধ্যে ১৭ জনই শিশু। বাকিরা বৃদ্ধসহ নানা বয়সের মানুষ।
আরও জানা যায়, প্রতিদিন বহির্বিভাগে গড়ে ৪০ থেকে ৫০ জন ডায়রিয়া রোগী আসছে চিকিৎসা নিতে। ডায়রিয়া রোগীদের নানা ধরনের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন নড়াইল সদর হাসপাতালসহ জেলার উপজেলা কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রাইসা নামে এক শিশুর মা ফিরোজা বেগম বলেন, ‘আমার সন্তানের হঠাৎ পাতলা পায়খানা শুরু হলে তিনদিন আগে হাসপাতালে ভর্তি করি। এখন শরীরের অবস্থা একটু ভালো। তবে বাইরে থেকে অনেক ওষুধ ক্রয় করতে হচ্ছে।’
মরফুদুল ইসলাম নামে আরও একজন রোগী বলেন, ‘আমার কয়েকদিন থেকে পাতলা পায়খানা হচ্ছিল। কিছুতেই ভালো না হওয়ায় শেষে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। প্রথমে সিট না পেলেও পরে পেয়েছি।’
নড়াইল সদর হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. আলিমুজ্জামান সেতু বলেন, ‘অতিরিক্ত তাপদাহের কারণে গত কয়েক দিন ধরে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। মূলত এই গরমে বাইরে যত্রতত্র পানি পান করা, খাবার ও বাসি খাবার খাওয়ার কারণেই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। এদের মধ্যে ৭০-৮০ ভাগ শিশু ও বৃদ্ধ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। তবে মৃদু সংক্রমণ থাকায় অনেকে বহির্বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। আমরা তাদের চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি এবং বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, ডায়রিয়ার লক্ষণ দেখা দিলে কিংবা এই অতিরিক্ত গরমে বাইরের খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। নিরাপদ পানি ও রসালো ফল খাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।