নীলফামারীতে বিশ্ব পরিবেশ দিবসে র্যালি, আলোচনা সভা ও পুরুষ্কার বিতরণ
নীলফামারী প্রতিনিধি: ‘প্লাস্টিক দূষণের সমাধানে শামিল হই সকলে’ এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে নীলফামারীতে পালিত হয়েছে বিশ্ব পরিবেশ দিবস।
৫ই জুন ২০২৩ সোমবার সকাল ১০টার সময় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালীটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। এ উপলক্ষে পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা ও শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ, পরিবেশ উন্নয়নের স্বীকৃতি স্বরুপ সন্মাননা স্বারক, গাছের চারা বিতরণ কর্মসূচি পালন করা হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে নীলফামারী জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: সাইফুর রহমানের সভাপতিতত্বে ও জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক কমল কুমার বর্মণের সঞ্চলনায় প্রধান অতিথি ছিলেন নীলফামারী জেলার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ।
আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন নীলফামারী পৌরসভার মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শাহিদ মাহমুদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম,
নীলফামারী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি প্রকৌশলী এস এম সফিকুল আলম (ডাবলু), সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি আহসান রহিম মঞ্জিল, নীলফামারী জেলা পরিবেশ সংরক্ষণ ও শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ বাস্তবায়ন কমিটি এবং দ্বীপ্তমান যুব উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি আব্দুল মোমিন প্রমুখ।
পরে অতিথিরা শিশু –কিশোরদের পরিবেশ বিষয়ক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয় এবং পরিবেশ উন্নয়নে অবদান রাখায় দ্বীপ্তমান যুব উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি আব্দুল মোমিন সহ ৩ জনকে বিশেষ পরিবেশ সন্মাননা পুরুষ্কার তুলে দেন।
আলোচনা সভায় বক্তারা পরিবেশের বিপর্যয়ের জন্য নিজেদের অবহেলাকে দায়ী করেন । তারা এক্ষেত্রে প্লাস্টিক পণ্যের ভয়াবহতার কথা তুলে ধরেন।
তারা বলেন, প্লাস্টিক পণ্য পচে না এবং এর মাধ্যমে পরিবেশের বিপর্যয় ঘটে।
তাই পরিবেশ রক্ষায় সকলকে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানান। বক্তারা আরো বলেন, প্লাস্টিক বর্জ্য কিভাবে পরিবেশের ক্ষতি সাধন করে ও এই ক্ষতি থেকে বাঁচতে আমরা কীভাবে প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি বিকল্প জিনিস ব্যাবহার করতে পারি সেদিকে আলোকপাত করেন। বক্তারা পরিবেশের বিপর্যয় রোধ করতে নবায়ন যোগ্য জ্বালানির ব্যবহারসহ কার্বন নিঃসরণ কমাতে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে ও বেশি বেশি বৃক্ষ রোপণের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।