নিয়ামতপুরে ২৪ ঘন্টায় করোনায়প্রাণ গেল ৩ জনের – Naogaon Barta

নিয়ামতপুরে ২৪ ঘন্টায় করোনায়প্রাণ গেল ৩ জনের – Naogaon Barta




নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি
নিয়ামতপুরে গত ২৪ ঘন্টায় ( বগুড়া ও রামেক হাসপাতালে) করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেছেন তিন জন। এদের প্রত্যেককেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে দাফন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। হঠাৎ করেই করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় উপজেলার সর্বত্রই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সংক্রমনের হারও উদ্ধমূখী।
করোনায় মৃত ব্যক্তিরা হলেন, উপজেলার শ্রীমন্তপুর ইউনিয়নের মোদাচ্ছের হোসেনের ছেলে মোর্শেদ রুবেল (২৫), ভাবিচা ইউনিয়নের কালাইডাঙ্গা ডিমা গ্রামের মৃত মহসীন আলীর ছেলে হাবিবুর (৫৪) ও একই ইউনিয়নের বালুকাপাড়া গ্রামের সুরেশ চন্দ্রের স্ত্রী পঞ্চবালা (৬২)।
উল্লেখ্য, নিয়ামতপুওে সংক্রমনের হার বেড়ে যাওয়ায় ৩ জুন থেকে ৯ জুন পর্যন্ত ১৫ দফা নির্দেশনা দিয়ে সর্বাতœক কঠোর লকডাউন ঘোষনা করেন জেলা প্রশাসক হারুন-অর-রশীদ। লকডাউন চলাকালে দেখা গেছে উপজেলার প্রবেশ পথগুলোতে পুলিশের তল্লাশী চৌকি বসানো হয়। এতে করে সাম্প্রতিক কালের করোনা হটস্পট পাশর্^বর্তী চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল ও গোমস্তাপুরে মানুষ নিয়ামতপুওে ঢুকতে বাধার সম্মূখীন হয়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে যথার্থ উত্তর দিয়ে ছাড় পেতে হয় তাদের। এরপ সংক্রমের হার কিছুটা নেমে আছে। কিন্তু সাতদিনের লকডাউন শেষে কিছুটা শিথিল কওে আবারো লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয় ১৬ জুন পর্যন্ত। কিন্তু এ লকডাউনে দোকান-পাট খোলা থাকায় আবারো ঘর থেকে বেরিয়ে আসে মানুষ।
কিছুটা শিথিলকৃত লকডাউনে সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে প্রশাসনের সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত থাকলেও তা মানছেননা মানুষ। ফলে নিয়ামতপুরে আবারো করোনা সংক্রমনের হার বাড়ার আশংকা বেড়ে গেছে অনেকগুন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) ডাঃ তোফাজ্জল হোসেন জানান, নিয়ামতপুওে ১৫ দফা নির্দেশনা দিয়ে যে লকডাউন শুরু হয়েছিল তা দুই সপ্তাহ অব্যহত থাকলে ভাল হত। কিন্ত ১০ জুন থেকে কিছিুটা শিথিল কওে লকডাউনের মেয়াদ বাড়লে তাতে মানুষ বেরিয়ে এসেছে রাস্তা-ঘাটসহ হাটবাজারে। এতে সংক্রমনের ঝুকি কিছুটা বাড়তে পারে মনে করছেন।
এ প্রসঙ্গে ইউএনও জয়া মারীয়া পেরেরা বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে প্রশাসনের সর্বোচ্চ চেষ্ট অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিন ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা হচ্ছে জরিমানাও গুনতে হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি অমান্যকারীদের। তারপরও মানুষ যদি স্বতঃস্ফুর্ত ভাবে সচেতন না হয় তবে কি কওে করোনা মোকাবেলা করা সম্ভব। উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে তিনি সকলকে লকডাউনের নির্দেশনা ও স্বস্থবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানান।




Explore More Districts