নিয়ামতপুরে ঝড়, শিলা বৃষ্টিতে বিপাকে কৃষক। – Naogaon Barta




একদিকে মহামারি করোনাভাইরাস, অন্যদিকে ধানকাটা শ্রমিক সংকট। তার ওপর আবার আজ মঙ্গলবার (১১) মে সকাল ৬.০০ টা থেকে শুরু হয় প্রচন্ড ঝড় সাথে টানা বৃষ্টি। একটু পরে শুরু হয় শিলাবৃষ্টি।

এ পরিস্থিতিতে খেতের কাটা ধান ঘরে তোলা নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন নিয়ামতপুরের কৃষক। কৃষি অফিন সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় এবার ২০ হাজার ৯৯৫ হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ হয়েছে। ফলনও হয়েছে ভালো।

সরেজমিনে মঙ্গলবার উপজেলার অমৃতপুর গ্রামে বোরো মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, শিলাবৃষ্টিতে জমির প্রায় ৮০ ভাগ ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন এ সমস্ত ধান তোলা নিয়ে চিন্তিত কৃষক।
অমৃতপুর গ্রামের কৃষক আপেল শেখ প্রতিনিধিকে বলেন, এবার আমি ৫ বিঘা জমিতে বোরোর আবাদ করি। ধান আধা কলা পাকা না হওয়ায় এবং শ্রমিক সংকটের কারনে ধান কাটা শুরু করতে পারি নি। আজ সকালে শিলা ঝড় বৃষ্টিতে আমার স্বপ্নের সমাধি হয়েছে। অধিকাংশ ধান শিলাবৃষ্টিতে পড়ে গেছে।
যে সমস্ত ধান পানিতে পড়ে আছে তা মাঠ থেকে উঠিয়ে জায়গার অভাবে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে কৃষককে। অনেকে উপায় না পেয়ে রাস্তার উপর ধান উঠিয়ে রাখছে। আবার অনেকের শ্রমিক সংকটের কারনে ধান নিয়ে বিপাকে পড়ছেন। ঘন ঘন বৃষ্টি হওয়াতে শ্রমিকের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এদিকে বৃষ্টির পানিতে ভেজা ধান উঠানে তুলে মাড়াই করতে ও শুকাতেও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে কৃষককে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান জানান, ঘন ঘন বৃষ্টি হওয়ার কারনে ফসল ঘরে তুলতে কৃষকে কষ্ট পোহাতে হচ্ছে। তবে যতদ্রুত সম্ভব মাঠ থেকে ধান তুলে নিতে হবে। যারা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে, তাদের তথ্য নেওয়া হচ্ছে।




Explore More Districts