পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের ২০২৪ সালের সংসদীয় নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বাতিল করে দিয়েছে দেশটির নির্বাচন কমিশন।
২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য তার দাখিল করা মনোনয়নপত্র শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) বাতিল করা হয়েছে বলে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে। এছাড়া পাকিস্তান তাহরীক-ই ইনসাফ (পিটিআই) পার্টি এর বেশিরভাগ প্রার্থীকে ফেব্রুয়ারিতে হওয়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত রাখার অভিযোগ করেছে।
৭১ বছর বয়সী সাবেক ক্রিকেট তারকা ইমরান খান দুর্নীতির দায়ে তিন বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন, পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) পাঁচ বছরের জন্য রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ করেছে। কিন্তু তারপরও শুক্রবার মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি।
সংবিধান অনুযায়ী ইমরান খানকে নির্বাচনে অযোগ্য গোষণা করে নির্বাচন কর্মকর্তারা। তারা তার মন্ত্রিসভার সাবেক সদস্যদের প্রার্থিতাও বাতিল করেছে।
ইসিপি শনিবার লাহোর থেকে বাতিল হওয়া মনোনীতদের তালিকা প্রকাশ করেছে, যাতে খানের নামও ছিল। এতে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনোনয়নপ্রত্যাশী হতে পারেননি কারণ তিনি নির্বাচনী এলাকার নিবন্ধিত ভোটার নন এবং তিনি “আদালতে দোষী সাব্যস্ত”।
দুর্নীতির মামলায় বন্দী হওয়ার পর থেকে ইমরান খানকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি যেখানে তিনি অফিসে থাকাকালীন বেআইনিভাবে রাষ্ট্রীয় উপহার বিক্রির অভিযোগে অভিযুক্ত হন।
গত সপ্তাহে, সুপ্রিম কোর্ট তাকে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা ফাঁস করার অভিযোগে একটি মামলায় জামিন দিয়েছে, কিন্তু গত বছর অফিস থেকে অপসারণের পর থেকে তিনি আইনি মামলার বাধার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।
পাকিস্তানে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য প্রার্থীদের দাখিল করা মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময়সীমা ৩০ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত আপিল করা যাবে এবং ১০ জানুয়ারির মধ্যে এসব আপিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে দেশটির নির্বাচন কমিশন।