২৯ April ২০২৫ Tuesday ১০:৫০:২৮ PM | ![]() ![]() ![]() ![]() |
পটুয়াখালী প্রতিনিধি:

পটুয়াখালীর সদর উপজেলার কমলাপুর ইউনিয়নের ধরান্দী গ্রামে একটি সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয়। পটুয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রাসেল রনির নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল প্রথমে সদর উপজেলা কমপ্লেক্সের এলজিইডি কার্যালয়ে গিয়ে সংশ্লিষ্ট নথিপত্র পর্যালোচনা করে। এরপর দুপুরে ধরান্দী দেওয়ান শরীফ দরগা থেকে পাতাবুনিয়া পর্যন্ত নির্মাণাধীন সড়কটিতে সরেজমিনে পরিদর্শনে যান।
পরিদর্শনে তারা নির্মাণ সামগ্রীর গুণগতমান, কাজের অগ্রগতি এবং বিলের অনুপাতে বাস্তবায়িত কাজ মূল্যায়ন করেন। এ সময় তারা নির্মাণকাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন উপকরণের নমুনাও সংগ্রহ করেন।
অভিযানকালে নিরপেক্ষ প্রকৌশলী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের সরকারি প্রকৌশলী মোহাম্মদ আসাদুল ইসলাম। এছাড়াও এলজিইডি সদর উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অভিযান শেষে বিকেল চারটা পর্যন্ত তারা আবার এলজিইডি কার্যালয়ে অবস্থান করেন।
এলজিইডি সূত্রে জানা যায়,‘সড়ক প্রশস্ত ও শক্তিশালীকরণ প্রকল্প’-এর আওতায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রায় ৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ১ হাজার ৬৩৮ মিটার দীর্ঘ সড়কটির পুনর্নির্মাণের অনুমোদন দেয় কতৃপক্ষ। দরপত্র অনুযায়ী ২০২৪ সালের অক্টোবর থেকে নির্মাণকাজ শুরু করেন চট্টগ্রামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘ইউনুস অ্যান্ড ব্রাদার্স’।
অফিস সূত্রে আরও জানা, প্রকল্প অনুযায়ী সড়কটির মাটি, কার্পেটিং, আরসিসি ও পেলাসাইডিং সহ চারটি ভাগে কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে। দরপত্রে উল্লেখ রয়েছে, ১৮ মিটার চওড়া সড়কটি ২০২৫ সালের ৩০ জুনের মধ্যে শেষ করতে হবে। ইতোমধ্যে সড়কের ৭৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে এবং চার ধাপে মোট ২ কোটি ৪১ লাখ টাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে পরিশোধ করা হয়েছে।
দুদকের সহকারী পরিচালক রাসেল রনি বলেন,‘সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা আজ তদন্তে নেমেছি। প্রকল্পের কাগজপত্র, নির্মাণ সামগ্রী ও বাস্তব কাজ পর্যালোচনা করে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করেছি। এগুলো আমরা যাচাই-বাছাই করে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে প্রতিবেদন আকারে জমা দেব। প্রতিবেদন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ ঢাকা অফিস থেকে গ্রহণ করা হবে।’
উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান,‘রাস্তাটির কাজ সন্তোষজনক হয়েছে। প্রধান কার্যালয়ের একাধিক পরিদর্শক দল পরিদর্শন করে ইতিবাচক মত দিয়েছেন। বর্ষা শুরুর আগেই বাকি কাজ শেষ হবে বলে আশা করছি। গত বছরের ২৯ আগস্ট আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর কেবল একটি বিল অনুমোদন দিয়েছি। প্রতিষ্ঠানটি যে পরিমাণ বিলের টাকা গ্রহণ করেছে সে অনুযায়ী তারা বেশ কিছু কাজ অগ্রিম করেছে।’
সম্পাদনা: আমাদের বরিশাল ডেস্ক
শেয়ার করতে ক্লিক করুন: | Tweet |